নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করেছেন গত বছরের ১০ নভেম্বর, যা গৃহীত হয় ১৪ নভেম্বর। এরপর দুই মাস কেটে গেল এখনো প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হয়নি। এর কারণ হিসেবে জানা গেল বিচারপতি সিনহার কথাই। তিনি চলে গেলেও তাঁর ভূত ছাড়ছে না বিচার বিভাগকে। বিচারপতি সিনহার পদত্যাগ সংক্রান্ত পরবর্তী কোনো জটিলতা এড়াতেই দেরি হচ্ছে বিচারপতি নিয়োগ। চলতি মাসের শেষে সিনহার চাকরির মেয়াদ শেষের পরই নিয়োগ হতে পারে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।
ষোড়শ সংশোধানী এবং এর পরবর্তী বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই অসুস্থতার কারণে গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে এক মাসের ছুটি নেন বিচারপতি সিনহা। ছুটি নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। এর আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিজের স্বাক্ষরিত লিফলেটে বিচারপতি সিনহা নানা বিতর্ক উস্কে দেন। পরদিনই হাইকোর্টের এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ লেনদেন, নৈতিক স্থলনসহ ১১ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমনিতেই অবসরের আগে (৩১ জানুয়ারি, ২০১৮) আদালতে বসতে পারতেন না প্রধান বিচারপতি। তবে ছুটিতে থাকা অবস্থায়ই বিদেশ থেকে পদত্যাগ পত্র পাঠান বিচারপতি সিনহা। ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর পাঠানো পদত্যাগপত্র ১৪ নভেম্বর গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।
সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেও প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সরকার সময় নেওয়ার কারণ সাবেক প্রধান বিচারপতির ওপর তাঁরা বিশ্বাস রাখতে না পারা। পূর্বেও বিচারপতি সিনহা অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে পরে অসুস্থ নন বলে দাবি করেছেন। এখন পদত্যাগের বিষয়েও সিনহা এমন উল্টোপাল্টা করতে পারেন আশঙ্কা করছে সরকার।
সরকারের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, বিচারপতি সিনহা ‘আনপ্রেডিক্টেবল চরিত্র’। এখন হয়তো কিছু বলছে না কিন্তু তাঁর মেয়দের আগে অন্য কাউকে নিয়োগ দিলে হয়তো তিনি রিট করে বসতে পারেন। দাবি করতে পারেন তিনি পদত্যাগই করেননি। আবার হয়তো ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিচার বিভাগকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারেন সিনহা। এমন মানুষের পক্ষে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে সবকিছু করা সম্ভব।
বিচারপতি সিনহার এমন পদক্ষেপের আশঙ্কায়ই সরকার তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। সিনহার চাকরির মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তবে এর আগেই ২৯ জানুয়ারি তাঁর শেষ কর্মদিবস হওয়ার কথা। সিনহার অনুষ্ঠানিক মেয়াদ শেষ হলেই নতুন বিচারপতির নিয়োগের ঘোষণা দিতে পারে সরকার।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী প্রধানবিচারপতি কে হচ্ছেন তা এরই মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক সব কাজকর্মও শেষ। এখন অপেক্ষা শুধু সাবেক প্রধান বিচারপতির আনুষ্ঠানিক মেয়াদ শেষের। তাই নতুন প্রধানবিচারপতি আসতে পারেন চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতেই।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের
(কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা
হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায়
তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন
দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী
ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি
করা হয়।
ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী
শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার
ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায়
এবং কে. বি বাজার শাখার
ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার
(চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে
ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে
না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে
উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের
অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি
মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা,
দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ
এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে
যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে
নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল,
তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা
দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন।
সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে
সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি
এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি
আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পাবনার আমিনপুরের কাজিরহাট ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিবোঝাইসহ
১২ ট্রাক জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে আটক করা
হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আটক করা
হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় চিনিবোঝাই
ট্রাকগুলো সিলেটের জয়ন্তপুর সীমান্ত হয়ে ঢুকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। মানিকগঞ্জের আরিচা
ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল ডিবি। এসব ট্রাকে অন্তত আড়াই শতাধিক টন চিনি আছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো আরিচা পার হয়ে পাবনার
কাজিরহাট ঘাটে এলে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এরপর এগুলো জব্দ করা হয় এবং ২৩-২৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত
তথ্য জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।