নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা হলো স্থায়ী কমিটি। স্থায়ী কমিটি ১৯ সদস্যের। কিন্তু এম. কে আনোয়ারের মৃত্যুর পর এর তিনটি পদই খালি। এখন পর্যন্ত এই তিনটি পদে নেতা নির্বাচন করতে পারেনি বিএনপি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মা এবং ছেলের মতদ্বৈততার জন্যই সম্মেলেনের দুই বছর পরও বিএনপি পূণাঙ্গ স্থায়ী কমিটি গঠন করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া তাঁর মামলার রায়ের আগেই স্থায়ী কমিটির বাকি তিনজন সদস্য চূড়ান্ত করতে চান। এনিয়ে আপত্তি নেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্থায়ী কমিটির দুই নম্বর সদস্য তারেক জিয়ার। কিন্তু তিনজনের নাম নিয়ে তাঁরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।
২০১৬ র ১৯ মার্চ বিএনপি ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের পর দুটি পদ শূন্য রেখে স্থায়ী কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ২৪ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম. কে আনোয়ার মারা যান। তাঁর মৃত্যুর তিনমাস পরও শূন্যস্থান পূরণ করা যায়নি। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া চান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ এবং ডা. এ. জেড এম জাহিদ হোসেনকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করতে। এদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। স্থায়ী কমিটির সদস্য না হতে পারার ক্ষোভে তিনি পদত্যাগও করতে চেয়েছিলেন। পরে বেগম জিয়া তাঁকে ডেকে আশ্বস্ত করেন। নোমানকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, শিগগিরই তাঁকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হবে। কিন্তু বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক জিয়ার আপত্তির কারণেই গত দু’বছরেও বেগম জিয়া নোমানকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করতে পারেন নি। বেগম জিয়ার পছন্দের অন্য দুইজনের ব্যাপারেও তারেক জিয়ার আপত্তি রয়েছে।
তারেক জিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে চান তরুণ নেতৃত্ব। সূত্রমতে তারেক জিয়া আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী এবং হাবিবুন্নবী সোহেলকে স্থায়ী কমিটিতে চেয়েছিলেন। বেগম জিয়া রিজভীর ব্যাপারে রাজী হলেও আমানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। আর সোহেলের ব্যাপারে বেগম জিয়ার মত হচ্ছে, ‘এখনই না, ওর সামনে আনেক সময় আছে।’ মা-ছেলে এখন রায়ের আগেই স্থায়ী কমিটি চূড়ান্ত করতে চাইছে। জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে স্থায়ী কমিটির সদস্য হচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম থাকা আবদুল আওয়াল মিন্টুর ব্যাপারেও দুজন একমত বলে জানা গেছে। তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আবদুল্লাহ আল নোমান,বরকত উল্লাহ বুলু এবং শওকত মাহমুদকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেগম জিয়া চাইছেন নোমানকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করতে। চট্টগ্রামের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাঁর গুরুত্বও তিনি ছেলেকে বোঝাতে চাইছেন।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটিতে শেষ পর্যন্ত যে তিনজনই আসুক না কেন, জিয়া পরিবারের কর্তৃত্ব যেন নিরঙ্কুশ থাকে সেটাই বিবেচনা নিচ্ছে। দুর্নীতির মামলার রায়ের পর স্থায়ী কমিটি যেন তারেক জিয়ার নির্দেশিত পথে চলে, সেটাই প্রথম বিবেচনা।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি চূড়ান্ত হবে।
Read in English- http://bit.ly/2BsinEu
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।