নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮
বিএনপি প্রতিনিধি দল হঠাৎ উপস্থিত নির্বাচন কমিশনে। রোববার বেলা ৪ টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে উপস্থিত হওয়া ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে জানায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শেষ। রায় ঘোষণার তারিখ দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। এমন সময় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বেগম জিয়াকে ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলা বিচারের রায়ের ওপর চাপ দেওয়ার অপচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এমন বক্তব্য শুধু নয়, আরও নানাভাবে বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টায় রত বিএনপি। দলটির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া ও জিয়ার পরিবারকে ‘প্রটেকশন’ দেওয়া।
বিএনপির এমন দলীয় প্রচেষ্টা শুধু এখনই নয়, বারবার দেখা গেছে। বিএনপির রাজনীতি বরারবই ঘুরপাক খায় জিয়া পরিবারের স্বার্থ রক্ষা ঘিরেই। দেশের অন্যতম বৃহৎ দাবি করা একটি রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতি কী শুধু একজন ব্যক্তি বা পারিবারের স্বার্থ রক্ষা হতে পারে?
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক চলাকালে আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেছেন, দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক, এমন অনেক হয়রানি মামলা বঙ্গবন্ধুসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও দায়ের করা হয়েছে।’ বেগম জিয়ার বক্তব্য ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিখ্যাত রাজনীতিবিদদের হয়রানিমূলক মামলা এবং তাঁর এতিমের অর্থ চুরির মামলার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। আর যে রাজনীতিবিদদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তারা সবাই আদালতেই মামলার নিষ্পত্তি করেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে দলীয় প্রভাব দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে নয়।
জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন একটি আদর্শ নিয়ে, যা ছিল, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু বর্তমান বিএনপি অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা সেই আদর্শের ঠিক উল্টে পথে চলছে। তাঁদের কাছে, দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে বড় বেগম জিয়া ও জিয়া পরিবার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপির কাজকর্মে জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত বিকৃত আদর্শের প্রতিফলনই যেন দেখা যাচ্ছে। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত দেশেও জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কত ইস্যুই এলো-গেলো। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল দাবি করা বিএনপির নেতৃবৃন্দের এগুলো নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের কর্মকাণ্ডের জিয়া পরিবারের স্বার্থ রক্ষা ঘিরেই। স্মরণকালের ইতিহাসে শেষ কবে জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেছে বিএনপি? কেউ কী মনে করতে পারবেন?
অনেকের প্রশ্ন, যে দল ক্ষমতার বাইরে থেকেই এক ব্যক্তি বা পরিবারের বাইরে ভাবতে পারে না, যাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ সম্পর্ক নিয়ে নূন্যতম ভাবনা নেই, সেই দল ক্ষমতায় গিয়ে কী আমূল বদলে যাবে? তখন কী ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থ থেকে বেরিয়ে জনস্বার্থ দেখবে তারা?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।