নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮
মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে একজন স্বাধীনতা বিরোধীর সন্তান, অসাংবাদিককে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এবছর স্বাধীনতা পদক প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে কমিটি সাংবাদিকতায় স্বাধীনতা পদক দেওয়ার জন্য শাইখ সিরাজের নাম প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায়।
শাইখ সিরাজ কোনোদিনই সাংবাদিকতা করেননি। তাঁর বাবা ছিলেন একাত্তরের দালাল। শাইখ সিরাজ মুক্তিযোদ্ধাও নন। শুধু তদবিরের জোরে হারুন হাবীব, শফিকুর রহমানের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দিয়ে ওই কমিটি শাইখ সিরাজের নাম প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে।
শাইখ সিরাজ মিডিয়াতে আছেন রেজাউল করিম সিদ্দিক রানার পরিকল্পিত ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে। বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শাইখ সিরাজ ৯১ সালে ‘মাটি ও মানুষ’ দখল করে নেন। বিএনপির বদান্যতায় তিনি একুশে পদকও বাগিয়ে নেন। এ সময় তিনি ‘জিয়ার সৈনিক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শাইখ সিরাজকে ‘মাটি ও মানুষ’অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে সেসময় লিখিত চিঠি দিয়ে শাইখ সিরাজের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন। এসময় শাইখ সিরাজ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং পরবর্তীতে চ্যানেল আই এর পরিচালক হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে শাইখ সিরাজ সরাসরি বিএনপির পক্ষে প্রচারণা চালান। মাহি বি. চৌধুরীর এক অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শাইখ সিরাজ অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হন। হাওয়া ভবনে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁর উদ্যোগেই চ্যানেল আইতে তারেক জিয়ার সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়।
২০০৮ এ আওয়ামী লীগ এলে রাজাকারপুত্র খোলস পাল্টাতে থাকেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে গেছেন। চ্যানেল আইতে মন্ত্রীদের ডেকে নানা উপহার দিয়ে ফায়দা হাসিলই তাঁর কাজ। এহেন একজন ব্যক্তির নাম স্বাধীনতা পদকের মতো সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে কীভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে তা এক বিস্ময়। উল্লেখ্য, প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের আগে এই পদক দেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।