নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নেতৃত্বাধীন কমিটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য তালিকা পেশ করে। অসাংবাদিক ও রাজাকারের সন্তানসহ বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত শাইখ সিরাজের নাম থাকা ওই তালিকা প্রধানমন্ত্রী ফেরত পাঠিয়ে কমিটিকে আবার আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন।
স্বাধীনতা পুরস্কারের কমিটির তালিকা নিয়ে পুনরায় আলোচনার প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শাইখ সিরাজের নামটি বিস্তারিত কোনো চিন্তা না করেই রাখা হয়েছিল। পরে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় আমরা আবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সম্প্রতি স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নেতৃত্বাধীন কমিটি শাইখ সিরাজের নাম প্রস্তাব করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, শাইখ সিরাজ কোনোদিনই সাংবাদিকতা করেননি। তাঁর বাবা ছিলেন একাত্তরের দালাল। শাইখ সিরাজ মুক্তিযোদ্ধাও নন। শুধু তদবিরের জোরে হারুন হাবীব, শফিকুর রহমানের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দিয়ে ওই কমিটি শাইখ সিরাজের নাম প্রস্তাব করেছে বলে জানা যায়। কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা ফারুকসহ বিভিন্ন সময় মানব পাচারেও অভিযুক্ত শাইখ সিরাজ।
বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শাইখ সিরাজ ৯১ সালে ‘মাটি ও মানুষ’ দখল করে নেন। বিএনপির বদান্যতায় তিনি একুশে পদকও বাগিয়ে নেন। এ সময় তিনি ‘জিয়ার সৈনিক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে শাইখ সিরাজ সরাসরি বিএনপির পক্ষে প্রচারণা চালান। মাহি বি. চৌধুরীর এক অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শাইখ সিরাজ অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হন। হাওয়া ভবনে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁর উদ্যোগেই চ্যানেল আইতে তারেক জিয়ার সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। ২০০৮ এ আওয়ামী লীগ এলে রাজাকারপুত্র খোলস পাল্টাতে থাকেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে গেছেন। চ্যানেল আইতে মন্ত্রীদের ডেকে নানা উপহার দিয়ে ফায়দা হাসিলই তাঁর কাজ। এহেন একজন ব্যক্তির নাম স্বাধীনতা পদকের মতো সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে কীভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে তা এক বিস্ময়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।