নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বেগম জিয়ার কারাবরণ এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্রিফ করতে বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকেছিল বিএনপি। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা আসেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ড. মঈন খান সহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বিএনপি বেগম জিয়ার মামলা, তার গ্রেপ্তার এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এরপর বিভিন্ন কূটনীতিকরা কিছু প্রশ্ন করেন।
বৈঠকে মার্কিন দূতাবাস থেকে এসেছিলেন তিনজন প্রতিনিধি। বিএনপি নেতৃবৃন্দের ব্রিফিং শেষে, তাদের মধ্যে একজন জানতে চাইলেন ‘হোয়াই তারেক? প্রথমে প্রশ্নটা বুঝতে পারেননি বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এরপর ওই মার্কিন কূটনীতিক বিষয়টা খোলাসা করেই বলেন। তিনি জানতে চান ‘বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর তারেক জিয়াকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হলো কেন?’ বিএনপি মহাসচিব জানালেন ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের পর তিনিই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অপরাগ হলে, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই দলের দায়িত্ব নেন।’ এরপর অন্য এক মার্কিন কূটনীতিক পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘বাট হি ইজ অলসো কনভিকটেড। হি ইজ নট ইভেন ইন দ্য কান্ট্রি?’ এই প্রশ্নে মির্জা ফখরুল একটু বিব্রত হন। এরপর আসতে থাকে বিভিন্ন তারেক কেন্দ্রিক প্রশ্ন। তারেক কেন লন্ডনে থাকছেন, কেন ট্রায়াল ফেস করছে না ইত্যাদি। সব শেষে ভারতের কূটনীতিক প্রশ্ন করেন ‘আদালত যদি কাউকে দুর্নীতিবাজ ঘোষণা করে, তবে কি সে বিএনপি করতে পারবে?’ উত্তরে ড. মঈন খান বলেন ‘না, এটা করা উচিত না।’ ভারতীয় কূটনীতিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কেন বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হলো?’ বিএনপির কেউই এই প্রশ্নের উত্তর দেননি।
বৈঠকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন না যাওয়ার সিদ্ধান্ত কূটনীতিকদের জানান।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন