ইনসাইড বাংলাদেশ

আ. লীগ কি পারবে তৃতীয় বার?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কেউই তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বাংলাদেশে তো গণতন্ত্রের দাঁতই ওঠেনি। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এখন পরিবর্তনের হাওয়া। চলো পাল্টাই স্লোগান দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের সমাধি রচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। দেশে বিদেশে বিপুল জনপ্রিয়তার পরও জার্মানীতে অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের জয়কে  তিনি নিজেও বিজয় বলতে নারাজ। বারাক ওবামার বিপুল জনপ্রিয়তার পরও আরও দীর্ঘ ওবামারূপী হিলারি ক্লিনটনের শাসন চায়নি মার্কিন জনগণ। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রায় উন্মাদ প্রেসিডেন্টকে পছন্দ করেছেন। বিশ্বজুড়ে আজ পরিবর্তনের হাওয়া। নতুনের স্বাদ নিতে চায় নাগরিকবৃন্দ এবং ভোটাররা। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, এক বড় প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ কি পারবে?

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যাত্রাপথ বারবার ধাক্কা খেয়েছে। ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। মাত্র সাড়ে তিন বছর আমরা বেসামরিক শাসনে ছিলাম। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর, গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে আসলে ছিল স্বৈরশাসন, অবৈধ দখলদারদের রাজত্ব। জিয়াউর রহমান জোর করে অস্ত্র দেখিয়ে ক্ষমতা নিয়েছিলেন। এরশাদও তাই। জিয়া ক্ষমতা দখলের আগে কিছুদিন বাংলাদেশের মসনদ ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার। তেমনি এরশাদও বুটের তলায় গণতন্ত্রকে পিষ্ট করার আগে ছোট্ট একটা বিরতি দিয়েছিলেন। ৯০ এ এরশাদের পতন হয়। এরপর গণতন্ত্রের পথ তৈরি হয়েছিল। ৯০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি ক্ষমতায় আসে। কোনো দলই টানা দুবার ক্ষমতায় ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। বিএনপি হিসেব করেছিল তারা নির্বাচন না করলেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। যেমন, বিএনপি পতন হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ২০০৭ সালেও বিএনপির ক্ষমতার লোভ ওয়ান ইলেভেন ডেকেছিল। কিন্তু ২০১৪’র ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড করেছে। এরশাদ ৯ বছর থাকলেও তাতে কোনো তৃপ্তি ছিল না। ৮২ থেকে ৮৬ পর্যন্ত এরশাদ সাংবিধানিক ভাবেই অবৈধ শাসক ছিলেন। ৮৬ সংসদ বেশি দিন টেকেনি। ৮৮ সংসদও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগ বর্তমান মেয়াদ পূর্ণ করলেই টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতার থাকার রেকর্ড করবে, যে রেকর্ড কারও নেই। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগেই অস্বস্তি আছে। তাই ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ লড়াই করেই জিততে চায়।

ক্ষমতায় থাকার কতগুলো বাস্তব সম্মত সমস্যা রয়েছে। অনেক মানুষের দীর্ঘ চাহিদার তালিকা থাকে, সেই তালিকা সবটা পূরণ করা যায় না। ফলে জন অসন্তোষ বাড়ে। ক্ষমতাসীন দল দ্রুত জনপ্রিয়তা হারায়। ক্ষমতাসীন দলের বাড়াবাড়ি, ক্ষমতার দাপটও অনেক সময় দলকে অজনপ্রিয় করে। দুর্নীতি সরকারের সব অর্জনকে খেয়ে ফেলে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই তিনটি ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের সমস্যা রয়েছে।  প্রায়ই বাতাসে কান পাতলে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমছে। একারণেই বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে ব্যার্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেও বলে, নির্বাচন করলে তারা জিতবে। এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কিন্তু ইতিহাস মনস্ক হয়ে আমরা বিশ্বের দিকে তাকালে দেখব সেই দলগুলোই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, যে দলগুলোর প্রধান নেতা দলের উর্ধ্বে জাতীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। জার্মানিতে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল যে কোনোমতে জিতেছেন তা শুধুই তাঁর ইমেজের জন্যেই। পশ্চিম বাংলায় এক জ্যোতি বসুই লাল ঝান্ডা উচিয়ে রেখে ছিলেন। মালয়েশিয়ার মাহাথিরও তেমনি অবিসংবিদিত নেতা। গত নয় বছরে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি যে অবিসংবিদিত বাঙালির নেতা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। দল-মত নির্বিশেষে সকলে, এমনকি যারা তাঁর জন্য২১ আগস্টের মৃত্যুফাঁদ বানিয়ে ছিল তারাও স্বীকার করেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতার। একদিকে তিনি কঠোর, কঠিন শাসক। আদালতের রায় যেকোনো দন্ডিতের বিরুদ্ধে কার্যকরে তাঁর এতটুকু দ্বিধা স্পর্শ করে না। হোক না তা যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কিংবা বেগম জিয়ার কারদণ্ড। আবার দু:খী মানুষের কান্নায় তাঁর শিশুর আবেগে উদ্বেলিত হয়। কাজের সময় যেমন তিনি তাঁর আহার টুকু ভুলে যান, আবার শিশুদের সান্নিধ্যে তিনি তাঁর অবসরকে স্বর্গীয় আনন্দে ভরিয়ে দেন।  একজন পরিপূর্ণ মানুষ, সফল নেতা। এমন নেতা আছেন জন্যই হয়তো তৃতীয়বার ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে আওয়ামী লীগ। আশায় বুকও বাধে।



Read in English- http://bit.ly/2oHgD6N

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল! 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা যুক্তরাষ্ট্রকে শুনিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যিনি তার কিছু দিন আগেও অমুক বিএনপি নেতাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনছিলেন বা তমুক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়ে হাজির হচ্ছিলেন– তাকে আর ভোটের সময় দেখাই গেল না! কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন!’  

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না অংশ নেয়, তা হলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায় যে, দল জানে তারা ভোটে হারবে, তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র) কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।’

অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক, সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকায় সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘মডারেট’ (মধ্যপন্থি) ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, জামায়াতের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। বিনা সিক্রি মনে করেন, এই ‘ভুল ধারণা’র ভিত্তিতেই জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আমেরিকার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে আসছে।

এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল, তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এ কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে।

এদিনের আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসুয়া বসুরায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ওআরএফ দিল্লির সিনিয়র ফেলো তথা স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন।

পিটার হাস   নির্বাচন   মার্কিন রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন