নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০১৮
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কেউই তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বাংলাদেশে তো গণতন্ত্রের দাঁতই ওঠেনি। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এখন পরিবর্তনের হাওয়া। চলো পাল্টাই স্লোগান দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের সমাধি রচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। দেশে বিদেশে বিপুল জনপ্রিয়তার পরও জার্মানীতে অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের জয়কে তিনি নিজেও বিজয় বলতে নারাজ। বারাক ওবামার বিপুল জনপ্রিয়তার পরও আরও দীর্ঘ ওবামারূপী হিলারি ক্লিনটনের শাসন চায়নি মার্কিন জনগণ। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রায় উন্মাদ প্রেসিডেন্টকে পছন্দ করেছেন। বিশ্বজুড়ে আজ পরিবর্তনের হাওয়া। নতুনের স্বাদ নিতে চায় নাগরিকবৃন্দ এবং ভোটাররা। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, এক বড় প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ কি পারবে?
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যাত্রাপথ বারবার ধাক্কা খেয়েছে। ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। মাত্র সাড়ে তিন বছর আমরা বেসামরিক শাসনে ছিলাম। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর, গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে আসলে ছিল স্বৈরশাসন, অবৈধ দখলদারদের রাজত্ব। জিয়াউর রহমান জোর করে অস্ত্র দেখিয়ে ক্ষমতা নিয়েছিলেন। এরশাদও তাই। জিয়া ক্ষমতা দখলের আগে কিছুদিন বাংলাদেশের মসনদ ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার। তেমনি এরশাদও বুটের তলায় গণতন্ত্রকে পিষ্ট করার আগে ছোট্ট একটা বিরতি দিয়েছিলেন। ৯০ এ এরশাদের পতন হয়। এরপর গণতন্ত্রের পথ তৈরি হয়েছিল। ৯০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি ক্ষমতায় আসে। কোনো দলই টানা দুবার ক্ষমতায় ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। বিএনপি হিসেব করেছিল তারা নির্বাচন না করলেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। যেমন, বিএনপি পতন হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ২০০৭ সালেও বিএনপির ক্ষমতার লোভ ওয়ান ইলেভেন ডেকেছিল। কিন্তু ২০১৪’র ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড করেছে। এরশাদ ৯ বছর থাকলেও তাতে কোনো তৃপ্তি ছিল না। ৮২ থেকে ৮৬ পর্যন্ত এরশাদ সাংবিধানিক ভাবেই অবৈধ শাসক ছিলেন। ৮৬ সংসদ বেশি দিন টেকেনি। ৮৮ সংসদও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগ বর্তমান মেয়াদ পূর্ণ করলেই টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতার থাকার রেকর্ড করবে, যে রেকর্ড কারও নেই। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগেই অস্বস্তি আছে। তাই ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ লড়াই করেই জিততে চায়।
ক্ষমতায় থাকার কতগুলো বাস্তব সম্মত সমস্যা রয়েছে। অনেক মানুষের দীর্ঘ চাহিদার তালিকা থাকে, সেই তালিকা সবটা পূরণ করা যায় না। ফলে জন অসন্তোষ বাড়ে। ক্ষমতাসীন দল দ্রুত জনপ্রিয়তা হারায়। ক্ষমতাসীন দলের বাড়াবাড়ি, ক্ষমতার দাপটও অনেক সময় দলকে অজনপ্রিয় করে। দুর্নীতি সরকারের সব অর্জনকে খেয়ে ফেলে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই তিনটি ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের সমস্যা রয়েছে। প্রায়ই বাতাসে কান পাতলে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমছে। একারণেই বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে ব্যার্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেও বলে, নির্বাচন করলে তারা জিতবে। এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কিন্তু ইতিহাস মনস্ক হয়ে আমরা বিশ্বের দিকে তাকালে দেখব সেই দলগুলোই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, যে দলগুলোর প্রধান নেতা দলের উর্ধ্বে জাতীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। জার্মানিতে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল যে কোনোমতে জিতেছেন তা শুধুই তাঁর ইমেজের জন্যেই। পশ্চিম বাংলায় এক জ্যোতি বসুই লাল ঝান্ডা উচিয়ে রেখে ছিলেন। মালয়েশিয়ার মাহাথিরও তেমনি অবিসংবিদিত নেতা। গত নয় বছরে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি যে অবিসংবিদিত বাঙালির নেতা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। দল-মত নির্বিশেষে সকলে, এমনকি যারা তাঁর জন্য২১ আগস্টের মৃত্যুফাঁদ বানিয়ে ছিল তারাও স্বীকার করেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতার। একদিকে তিনি কঠোর, কঠিন শাসক। আদালতের রায় যেকোনো দন্ডিতের বিরুদ্ধে কার্যকরে তাঁর এতটুকু দ্বিধা স্পর্শ করে না। হোক না তা যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কিংবা বেগম জিয়ার কারদণ্ড। আবার দু:খী মানুষের কান্নায় তাঁর শিশুর আবেগে উদ্বেলিত হয়। কাজের সময় যেমন তিনি তাঁর আহার টুকু ভুলে যান, আবার শিশুদের সান্নিধ্যে তিনি তাঁর অবসরকে স্বর্গীয় আনন্দে ভরিয়ে দেন। একজন পরিপূর্ণ মানুষ, সফল নেতা। এমন নেতা আছেন জন্যই হয়তো তৃতীয়বার ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে আওয়ামী লীগ। আশায় বুকও বাধে।
Read in English- http://bit.ly/2oHgD6N
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।
তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।
তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।
এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সরকারি অফিস ঈদুল ফিতর অফিস টাইম রমজান
মন্তব্য করুন
ইউনূস সেন্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে
ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর
মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান
জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান
লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন
তদন্ত কর্মকর্তা।
একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি
গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
দেন।
এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য
মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার
দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন
হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি
অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত
করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ
করে চার্জশিট
জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল
ইসলাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের
আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে
থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর
রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম
ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ,
রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে
আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত
হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর
আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে
মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।