ইনসাইড বাংলাদেশ

নোয়াখালীর তিন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নোয়াখালীর সুধারামের চার রাজাকারের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

১৩ মার্চ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও আবু আহমেদ জমাদার।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমির হোসেন ওরফে আমির আলী, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আবদুল কুদ্দুস। আসামিদের মধ্যে আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর বর্তমানে পলাতক। মামলার আরেক আসামি ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই এলাকায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের তিনটি অভিযোগ রয়েছে। দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল। ৩৪ দিন পর গতকাল সোমবার রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন বিচারক।

মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা। প্রসিকিউশন পক্ষে ১৫জন সাক্ষী দেন এবং এবং আসামিপক্ষ কোনো সাফাই সাক্ষী দেয়নি।

২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর নোয়াখালী ও লক্ষীপুর থেকে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০১৬ সালের ২০ জুন চার আসামিকে হত্যা, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের তিন ঘটনায় অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালীর সুধারামে ১১১জনকে হত্যা ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাংলাইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান দেলোয়ার

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে অপহরণের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন

তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তার পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ারকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায় তারা। এঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ অপহরণের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফর রহমানকে দায়ী করা হয়।

এর পর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিদেশ থেকে ফিরে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে লুৎফর হাবিব রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   জুনায়েদ আহমেদ পলক   বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ইসি সচিব বলেন, ৫৪টি উপজেলা পরিষদে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে। এছাড়া তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে।


বাংলাদেশ   নির্বাচন   তফসিল   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবারো ৩ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চর শ্যামপুর পানি শোধনাগার সংলগ্ন পদ্মা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলো, রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও যুবরাজ, নুরুজ্জামন ও আরিফ পানির নিচে তলিয়ে যায়। অন্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, ৩ জন নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা সবাই শিশু। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।


পদ্মা নদী   পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত দিনমজুরের বসতঘর

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বরিশালের বানারীপাড়ায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে দিনমজুর ইকবাল হোসেনের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অগ্নিকান্ডে ইকবাল হোসেন নামের এক দিনমজুরের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু হারিয়ে দরিদ্র এ পরিবারটি নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ইকবাল হোসেনের তালাবদ্ধ বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তারা সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ায় ওই রাতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।

 

এদিকে আগুনে নিঃস্ব দরিদ্র পরিবারটির পাশে কেউ না থাকায় স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর ইকবাল হোসেন।


এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগুন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিল, এখন বাচ্চাদের কোন জামাকাপড় নাই, ঘুমানোর কোন জায়গা নেই, কোন খাবারও নেই, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমরা গরীব মানুষ আল্লাহ তারপরও আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিভাবে আবার একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করবো ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা।’

 

তাই তিনটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করে তারা।


অগ্নিকান্ড   নিঃস্ব ও রিক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এদিকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন