ইনসাইড বাংলাদেশ

‘তোমাকে তো সরকার চালাচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ২০ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত একমাসের বেশি সময় ধরে ২০ দল কার্যত: অচল। ২০ দলের বৈঠক ডাকতে জোটের অন্যতম শরীক এলডিপি নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্নেল (অব.) অলি বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা ২০ দলের বৈঠকের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

পরে অলি আহমেদ মির্জা ফখরুলের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব কোন উৎসাহ দেখাননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আবার বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। জানতে চান ‘২০ দলের বৈঠক হবে কিনা।’ জবাবে ফখরুল বলেন ‘এখন বৈঠক করে কি হবে।’ অলি বলেন, ‘ম্যাডামের মুক্তির আন্দোলনটাতো অন্তত আমরা একসঙ্গে করতে পারি।’ ফখরুল বলেন, ‘আমরা এটা বিএনপি থেকেই করতে চাইছি।’ এসময় ক্ষুব্ধ অলি, ফখরুলকে বলেন, ‘তোমাকে তো সরকার চালাচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই তুমি ২০ দলের বৈঠক ডাকছো না। তুমি বিএনপির আরেক মান্নান।’ এরপর অলি ফোন কেটে দেন।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকের হোসাইন-এর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ রায়হান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। 

প্রশিক্ষণে শহরের মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা হারুন আল মাদানী ও চাটখিল ইসলামপুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন হজ্জের ধর্মীয় বিধি-বিধান, হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য র্শীষক আলোচনা, হজ্জ যাত্রীদের সাধারণ করণীয়, হজ্জের প্রশাসনিক গুরুত্ব ও পালনীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন। 

এ বছর লক্ষ্মীপুর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪১৭ জন হজ্জযাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান ইউনুছ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮–এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। তিনি দুই দফায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে প্রথম দফায় ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এরপর আরও পাঁচ দফায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট ছয় দফায় সব মিলিয়ে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ   মোহাম্মদ ইউনুছ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।

জানা গেছে, বারার স্টুডিও’র দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলত। সম্পর্কের পর বিয়ে করে। পরে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান সাঈদ। 

ছোট বেলা থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি সাঈদ। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসে। গত ঈদুল ফিতরের দিন সাঈদের সন্ধানে টাঙ্গাইল থেকে এসেছিলেন স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা নামে এক নারী।

২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগমকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহী শহরের সংগীত শিল্পী রিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১২ সালে পাবনার চাটমোহর এলাকার কবিতাকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১৩ সালে ঢাকার সাথীকে বিয়ে করেনস তিনি। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার শাপলা খাতুনকে বিয়ে করেন সাঈদ।

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার মিতাকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। ২০২২ সালে টাঙ্গাইল মধুপুরের আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার সাভারের তিশা আক্তারকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোয়ামনিকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার রানীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালের প্রিয়াংকাকে বিয়ে করেন তিনি। ১৪তম স্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের আনারকলিকে বিয়ে করে তার সঙ্গে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ।

পঞ্চম স্ত্রী খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর পেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেন-মোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাঈদ ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দেই। কয়েকদিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গিয়েছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এ সব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই আমি। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সাঈদ পালিয়ে গেছে।

সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয় হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি।

একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী।

সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়।

সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারিনা। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন