নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ০৫ এপ্রিল, ২০১৮
অবশেষে মুখে হাসি ফুটেছে শিক্ষামন্ত্রীর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। হাসতে হাসতে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘এটা আমার জীবনেও একটা বড় পরীক্ষা ছিল।’ অকপটে স্বীকার করলেন, ‘পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম তিনবার। কিন্তু তিনবারই প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফিরিয়ে দেন।’
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে তিনটা উপদেশ দিয়েছিলেন। এই উপদেশ মানার কারণেই আজ সফল হয়েছি।’ উপদেশগুলো কি কি? জানতে চাওয়া হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এক. সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে, দুই. বিপদে ধৈর্য্য হারালে চলবে না, মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে এবং তিন. সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ নাহিদ বলেন, ‘সারা দেশে যখন আমাকে নিয়ে সমালোচনা, যখন ক্যাবিনেটে আমার কলিগরা পর্যন্ত আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, আস্থা রেখেছিলেন শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস যে আমরা বন্ধ করতে পেরেছি তার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বেশি।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।