নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৮
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘আমি বুড়ো মানুষ। অনেক সময়ই কথার খেই হারিয়ে ফেলি। যা বলতে চাই তা বলতে পারিনা। আর আমি যা বলি তোমরা তা লুফে নিয়ে প্রচার করো। এজন্য আমার মুখ বন্ধ। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কথা না বলতে। আই উইল নট টক।’ আজ বুধবার দুপুরে বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একথা বলেন। মুহিত বলেন,‘প্লিজ আমাকে খোঁচাখুচি করবে না, প্রোভক করবে না। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর। আমি কিছু কথা বলেছি, সেটা ছিল আমার ব্যক্তিগত মত। এনিয়ে অনেক হল খোলা হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। তোমরা যাও।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রাক-বাজেট এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের উপর আমি ভ্যাট আরোপ করবো।’ পরদিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামাল বলেন, ‘এটা অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মত। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো রকম ভ্যাট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপ করা হবে না।’ ওইদিনই বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা সংস্কারের বাস্তবায়ন হবে আওয়ামী লীগের বাজেটের’ তার ওই দুই বক্তব্যের পরপরই সমঝোতার পরও আন্দোলন নতুন করে শুরু হয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।