নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮
শাহবাগের ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ বা ১৯৯৬ সালে প্রেসক্লাবের সামনে গঠিত ‘জনতার মঞ্চ’র আদলে একটা ‘ছাত্র মঞ্চ’ করে সরকার পতনের আল্টিমেটাম দেওয়াই ছিল তারেক জিয়ার মাস্টার প্ল্যান। শুধু অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ নয়, আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তারেক নিয়মিত অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। আর আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র এবং বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘তারেক পরিকল্পনা ভালোই করেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়না। উনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, ২০১৪ সালে সরকার উৎখাতের মাস্টার প্ল্যান করেছিলেন, আর এবার করলেন গণ আন্দোলনের পরিকল্পনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তারেক দু’টি ইস্যু নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছিলেন। প্রথমত- কোটা সংস্কার, দ্বিতীয়ত- চাকরির বয়সসীমা। দু’টিই তরুণ এবং শিক্ষার্থীদের দাবি। তাই সহজে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। এই বিবেচনা থেকেই এদুটি বিষয়ে তারেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। কিন্তু চাকরির বয়সসীমার ইস্যু থেকে তারেক সরে আসেন এ কারণে যে, এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি আছে। তাছাড়া এই ইস্যুকে আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সমর্থন দিয়েছে। একারণেই তারেক কোটা সংস্কার ইস্যুকে বেছে নেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা গত জানুয়ারি মাস থেকেই সারা দেশে যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক তৈরি শুরু করে। কেন্দ্রীয় একটি টিম দেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করে কমিটি গঠন করে। যারা সারাদেশ সফর করেছিল। তাঁদের মধ্যে অন্তত তিনজন ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের নেতা। কেন্দ্রীয় ভাবে আন্দোলন শুরুর পরপরই এতে একটা সহিংস রূপ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। উপাচার্যের বাসভবনের হামলা সেই পরিকল্পনারই অংশ। কিন্তু এই ঘটনায় কোটা সংস্কারের পক্ষে ৯০ ভাগ সাধারণ শিক্ষার্থী সচেতন হয়ে যায়।
গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপাচার্যের বাসভবনে হামলায় কিছু মুখোশধারী ‘ট্রেইনড’ সন্ত্রাসী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এরা তারেক জিয়ার লোক। তারেক জিয়ার মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা হলে ছাত্রলীগের পাল্টা আঘাত হানার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ থেকে বিরত রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে তারেকের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সহিংসতায় কোনো লাশ পড়েনি।
তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ছিল, উপাচার্যের বাসভবনে হামলার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগ পাল্টা আঘাত করবে। দুপক্ষের সংঘর্ষে কয়েজন মারা যাবে। এই লাশ নিয়েই শিক্ষার্থীরা সরকার পতন আন্দোলনে যাবে। কিন্তু ওই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এমনকি লাশের গুজব ছড়িয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি তারেক জিয়া। লাশ ফেলার দ্বিতীয় চেষ্টাও হয়েছিল। কবি সুফিয়া কামাল হলে। কিন্তু সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর আচমকাই প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ভেস্তে যায় তারেক জিয়ার আরেকটি মাস্টারপ্লান।
Read In English: https://bit.ly/2GY21uP
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।