নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮
শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৬ এপ্রিল গিয়েছিলেন দিল্লি। সেখানে আশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার উদ্বোধন করেন তিনি। এটা ছিল প্রকাশ্য ঘটনা। কিন্তু তিন দিনের দিল্লি সফরে ড. ইউনূস বিজেপি সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে। কথা বলেন ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিজেপি নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ড. ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হলে, সে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সকল দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’ এজন্য ড. ইউনূস ভারতকে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বলেন।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন গিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত এক সেমিনারে অংশ নেন। প্রকাশ্য এই কর্মসূচির বাইরে গণফোরামের এই নেতা ১২জন সিনেটের এবং কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে এক নৈশভোজে মিলিত হন। ওই নৈশভোজের আয়োজক ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে ড. কামাল মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের বাংলাদেশ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। যে ব্যাখ্যার পুরোটাই ছিল বর্তমান সরকারের সমালোচনা। ড. কামাল হোসেনও বাংলাদেশে অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। ড. কামাল হোসেন মন্তব্য করেন, এছাড়া ‘জনরায়’ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য একাধিক দেশের কূটনীতিকদের বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। ওই মতামতে তিনি বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনো সংকট কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আগামী নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কয়েকটি দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই সব বৈঠকে সুজনের পক্ষ থেকে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই।
এই চারটি ঘটনাই প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ এখন বিএনপি নয় বরং সুশীল সমাজ। বিএনপি এখন প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করছে কিন্তু ওই সমালোচনা সাধারণ মানুষের কাছে কোনো আবেদন রাখতে পারছে না। কিন্তু সুশীল সমাজ কৌশলগত স্থানগুলোতে সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত দিচ্ছে। আওয়ামী লীগকে আন্তর্জাতিক ভাবে নি:সঙ্গ এবং সমালোচিত করাই এখন সুশীল সমাজের প্রধান লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সুশীলদের গোপন তৎপরতাগুলো নজরে আনছে না বা উপেক্ষা করছে। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছে, সুশীলরা এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, আওয়ামী লীগের আসল শত্রু কে? বিএনপি, জামাত না সুশীল সমাজ?
Read in English- https://bit.ly/2HabNtS
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ট্রেনের ভাড়া রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে অপহরণের শিকার
চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন ।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার (২১
এপ্রিল) দুপুরে
তার পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ারকে একটি
মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে
যায় তারা। এঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ অপহরণের জন্য তার
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফর রহমানকে দায়ী করা হয়।
এর
পর শুক্রবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিদেশ
থেকে ফিরে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে লুৎফর হাবিব রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন জুনায়েদ আহমেদ পলক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
মন্তব্য করুন
জমে উঠেছে ১৫ নং লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।