নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১৬ মে, ২০১৮
কম পরিশ্রম আর অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া চাষে দিন দিন আগ্রহ রাড়েছ মানিকগঞ্জের চাষীদের। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় আর সঠিক পরিচর্যায় ‘মিষ্টি কুমড়া’র বাম্পার ফলনক হয়েছে মানিকগঞ্জে। সবকিছু মিলিয়ে এবার মিষ্টি কুমড়া চাষে বেশক লাভবান এই জেলার চাষিরা।
এবছর মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার ফলন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে ঘিওর, মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলায় । আবাদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করেও জমি থেকেই পাইকারি ক্রেতাদের কাছে চুক্তিতে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছেন একাধিক চাষীরা। এতে চাষীদের গুণতে হচ্ছে না পরিবহন খরচ। মিষ্টি কুমড়ার চাষের জন্যে জমি তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও কৃষকদের মজুরিসহ অন্যান্য সবমিলে বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা। প্রতিবিঘা জমিতে ৭শ থেকে প্রায় ১ হাজার পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যায়। যার পাইকারি বাজারদর মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা।
ঘিওরের বালিয়াখোড়া এলাকার মিষ্টি কুমড়া চাষী রহিম মিয়া বাংলাইনসাইডারকে জানান, এবছর ৮২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছেন তিনি। পেঁয়াজ ও আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করাতে খরচও হয়েছে খুব সীমিত। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারের ফলনও হয়েছে সন্তোষজনক। এবার বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি। তবে, অন্যান্য ফসলের তুলনায় মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকি ও শ্রম খুবই কম। এজন্য প্রায় ১৮ বছর ধরে নিয়মিত ভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে আসছেন তিনি।
একই এলাকার কৃষক আমজাদ জানান, স্বল্প পরিশ্রম আর অল্প খরচে মিষ্টি কুমড়ার ফলন পাওয়া যায়। গাছে পুরোপুরি ফলন আসার আগেই পাইকারিভাবে চুক্তিতে জমি থেকেই ফসল বিক্রিও করা যায়। এছাড়া অন্যান্য ফসলের সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা সম্ভব হওয়াতে এলাকার অনেক কৃষকদের মধ্যে এই ফসল চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলেও তিনি জানান।
আবু রায়হান নামের এই পাইকারি ক্রেতা জানান, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ি, বাইপাইলে মানিকগঞ্জের মিষ্টি কুমড়ার অনেক চাহিদা রয়েছে। আর এ জেলার সঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি এ জেলা থেকে পাইকারি ভাবে মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করেছেন। তবে, প্রতিবছর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে বেশ লাভবান হলেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবার লাভের তেমন সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
আরেক পাইকারি ক্রেতা আসলাম মিয়া বলেন, প্রতিবছরই এ জেলা থেকে মিষ্টি কুমড়া কিনে নিয়ে যাই। তবে এবার লাভ কেমন হবে তা বলাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। কেন লাভের সম্ভাবনা নেই? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মিষ্টি কুমড়া মজুদ করা যাচ্ছে না। আর সেই সঙ্গে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত পরিবহন খরচও। সবমিলিয়ে এবছর লাভ হবে কিনা তারও আশঙ্কায় রয়েছেন পাইকারি ক্রেতারা।
মানিকগঞ্জ জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বাংলাইনসাইডারকে জানান, এবছর জেলায় প্রায় ৮শ৯০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার। আবহাওয়া ভাল থাকায় চলতি মৌসুমে কুমড়ার ফলনও বেশ ভাল হয়েছে।জেলার প্রায় পাঁচ হাজার চাষী এবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।