ইনসাইড বাংলাদেশ

`আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার চাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ২২ মে, ২০১৮


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নগরের উন্নয়নসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বরাবরই সরব তিনি। অতি সম্প্রতি হকার উচ্ছেদে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হয়েছে। আলোচিত এই নারী নেত্রী সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা ইনসাইডারের।

প্রশ্নঃ আপনি দেশের প্রথম নারী মেয়র। একজন নারী হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কি কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়েছে?

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী: ২০০৩ সাল থেকে আমি দায়িত্ব পালন করছি। এই চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করার সময় আমি নিজেকে কোনদিন নারী হিসেবে ভাবি নাই। হ্যাঁ, আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নানা চড়াই উৎরাই মেনে নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। অনেকবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো আমাকে ফেস করতে হয়েছে দিনের পর দিন। কখনও নারী হিসেবে একটু বেশি অসুবিধা হয়েছে আবার কোন সময় নারী হওয়ার কারণে আবার সুবিধাও পেয়েছি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আপনি মেয়র হিসেবে কি ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন?

আপনি যদি নারায়ণগঞ্জ শহর ঘুরে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন। প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে বিগত পাঁচ বছর ধরে। আমার তিনটি অঞ্চলের মধ্যে কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ১৮/১৯ থেকে এই অঞ্চলের কোনো কাজ হয় নাই। যার কারণে আমার উন্নয়নের মূল ফোকাসটা ওইদিকেই দিতে হচ্ছে। এই দুই অঞ্চলের মানুষের চাহিদাও ছিল যে তাদেরকে ড্রেন এবং রাস্তাঘাট করে দিতে হবে। জলাবদ্ধতা নারায়ণগঞ্জের একটা বড় সমস্যা ছিল। এখনও একটু বৃষ্টি হলেই নারায়ণগঞ্জের রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। এই পানিতে নামতে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে। বৃষ্টি হবার পর কত দ্রুত এই পানি শহর থেকে নিষ্কাশন করা যায় আমরা এখন সেই বিষয় নিয়ে ভাবছি।

আমরা ইতিমধ্যে শেখ রাসেল নগর পার্ক করেছি। আলি আহমেদ চুনকা মিলনায়তনটি পুনসংস্কার করেছি। অনেকগুলো খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছি। নদীর ওই পারে কদমরসুল জোনেও আমরা মাঠ করে দিচ্ছি। আমরা একটি নভোথিয়েটার করার উদ্যোগে নিয়েছি। প্রতি ওয়ার্ডে না হোক অন্তত ২/৩ ওয়ার্ড মিলে একটি মাঠ খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত একটি খাল দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বন্ধ ছিল। সেই খালের একটি অংশ আমরা খনন করেছি। একশ ছেষট্টি কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় এই খালের আরও সাতটি অংশ খননের কাজ চলমান আছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে, পুকুর-খাল, গাছপালার সমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জকে সবুজায়ন করা।

কিছুদিন আগে আপনি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গিয়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় আপনি আহতও হন। বর্তমানে আপনার শহরের ফুটপাতের কি অবস্থা?

ফুটপাতে মানুষের হাঁটাচলার অধিকার আছে। সাধারণ মানুষের সে অধিকার ফিরিয়ে দিতে গিয়ে আমার সাথে এই সমস্যা হয়েছিল। আমি ২০০৭ সালে হকার্সদের জন্য হকার্স মার্কেট করে দিয়েছি, সেইখানে সেই সময় ৬০০ থেকে ৭০০ হকার্সদের স্থান করে দিয়েছি। নারায়নগঞ্জের দশটি রোডে প্রায় তিন হাজার হকার বসে, প্রশাসন ও হকার্সদের কাছে আমার অনুরোধ ছিল অন্তত বঙ্গবন্ধু রোডে যেন কোন হকার্স না বসে। হকার্সদের জন্য বহুতল ভবন নির্মানের জন্য আমরা মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। হকার্সদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় আমি সেই চেষ্টা করছি।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন ও ত্বকী হত্যা হয়েছে। নারাগঞ্জের মেয়র হিসেবে আপনি বিষয়গুলোকে কিভাবে দেখেন?

ইতিমধ্যে সেভেন মার্ডারের রায় হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। ত্বকী হত্যা মামলাও উচ্চ আদালতে চলমান আছে। আমি মনে করি যেহেতু ত্বকী হত্যা একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড, তাই এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে তাই আমরা নারায়গঞ্জবাসীও আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার চাই।

নারায়নগঞ্জ দলীয় কোন্দলের কারণে প্রায় সময়ই আলোচিত হয়ে থাকে। সামনে জাতীয় নির্বাচনে এই কোন্দল কতটুকু প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?

ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী: প্রায় প্রতিটা জেলায় আওয়ামী লীগের মত বড় একটি দলে এমন সমস্যা একটু থাকেই। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার কারণে এমনটি হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনে তার কোন প্রভাব পড়বে না। ওই সময় তৃনমূল নেতা কর্মীদের চাপে অন্য নেতারাও ঠিক হয়ে যায়। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন তাই আমাদের লক্ষ একটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুণরায় প্রধানমন্ত্রী বানানো। দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্যই এই সরকারকে আবার প্রয়োজন। সুতরাং এইসব ছোটখাট সমস্যা ধোপে টিকবেনা।




বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।

এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।


তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এসময় নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,  সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ,  মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক,  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এলাকার গণ্যমান্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে বিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে হামলা চালায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় তাদের গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ৭ জন। পরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ এবং রাজবাড়ি জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একটানা এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন যে উপায়ে

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।

অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।

এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।

এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।

ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।


এসি   বিদ্যুৎ   বিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মেলায় চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মেলায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর

জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।

 

মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’


জুয়ার আসর   নীলকন্ঠ শিব পূজা   মাদক বিক্রি ও সেবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'


তাঁত শ্রমিক   লাশ উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন