নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেকেই নিজেরাই মনোনয়ন পেয়ে গেছেন বলে এলাকায় কথা বলছেন। বিএনপির দুর্নীতির কথা না বলে দলের অন্যদের বদনাম করে। দলের বদনাম করে। আমি দলের বদনাম মেনে নেবো না।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
মাদক বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক বন্ধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মাদকে দেশের শত্রু, উন্নয়নের অন্তরায়। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির দুর্নীতির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নিজেদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তিত অংশে বলা হয়েছিল দুর্নীতিবাজ কেউ দলের থাকতে পারবে না। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নিজেরাই দুর্নীতির দল স্বীকার করল বিএনপি।
এর আগে জনগণকে উন্নয়ন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা দেশের মানুষকে জানাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভোটের রাজনীতিতে মানুষকে জানাতে হবে উন্নয়নের কথা। মানুষকে বলতে হবে আমরা এই কাজ করেছি, উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আমাদের ভোট দিন।
পদ্মা সেতুর কাজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি হতে পারে বলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা হলো। পরে কানাডার আদালতে প্রমাণ হলো কোনো দুর্নীতির বিষয় ছিল না। আমরা নিজেদের অর্থায়নেই করছি পদ্মা সেতু।
আওয়ামী লীগে নিজের কাজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। আমার পুরো জীবনটাই আওয়ামী লীগ।
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের অবদান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যা কিছু পেয়েছে আওয়ামী লীগ আমলে হয়েছে। প্রথম শাসনতন্ত্র, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ দেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে মিশে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
ভাষণের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস জাতির পিতার ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, অভ্যুদয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।