ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুর সিটির ভোটের হিসাব নিকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ২৫ জুন, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরের ভোট কাল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া হয়ে ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে গাজীপুর সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় এখানে ভোটের ক্ষেত্রেও নানা বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। নতুন ও তরুণ ভোটার, শ্রমিক, বস্তির, বহিরাগত, আঞ্চলিক ভোটার, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সমর্থন, প্রার্থীর দলীয় ও ব্যক্তিগত ইমেজ, সরকারি দল, জামাত ও বিভিন্ন ইসলামি দলের ভোট, সংখ্যালঘুদের ভোটসহ নানা বিষয় জয়-পরাজয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সমর্থন: কল-কারখানা ও শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত গাজীপুরের সকল নির্বাচনে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সমর্থন বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে। গাজীপুরের রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানান যায়, এখানকার শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সমর্থন যেকোনো নির্বাচনে ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে।

শ্রমজীবী ভোটার: গাজীপুর শিল্পাঞ্চল হওয়ায় চাকরির সুবাদে অন্যান্য জেলার বহু লোকজন এ জেলায় এসে স্থায়ী বসবাস করছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১১২ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশই শ্রমিক। গাজীপুরের নির্বাচনে ভোটের হিসেবে যথেষ্ট প্রভাব দেখা যায় পোশাক শিল্প শ্রমিকদের। সে কারণেই উভয় দলের প্রার্থীদের কাছে নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মজীবী ভোটারদের সুযোগ সুবিধার বিষয়। 

আঞ্চলিক ভোটার: আঞ্চলিক ভোটারের আধিপত্য কম নয় গাজীপুরে। আঞ্চলিক ভোটারদের মধ্যে বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীর মানুষই বেশি গাজীপুরে। বৃহত্তর ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা সমিতি রয়েছে এখানে। এই সমিতিগুলো ভোটের ক্ষেত্রে ভালোই আধিপত্য রাখে। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রার্থীই এই সমিতিগুলোর সমর্থন আদায়ে যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে।

ক্ষমতাসীন দল: গতবারের গাজীপুরে সিটি নির্বাচনে গাজীপুরবাসী অধ্যাপক মান্নানকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিল। মান্নান মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। কার্যত গাজীপুরের তেমন কোন উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায় নাই। ইতিমধ্যে গাজীপুরবাসী বুঝতে শিখেছে যে, উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিকেই নির্বাচিত করতে হবে।

জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দল: গাজীপুরের নির্বাচনে জামাত, অন্যান্য ইসলামী দলগুলো ভোটের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে। এখানে জামায়াত এবং হেফাজতের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। গতবারের সিটি নির্বাচনে জামায়াত, হেফাজত ও অন্যান্য ইসলামি সমমনা দলগুলোর ভোট মান্নানের বিজয়ী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। সে কারণেই কারণে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম হেফাজতের আমির আল্লামা শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোয়া নিয়েছেন।

স্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত ইমেজ: গাজীপুরে স্থানীয় নেতাদের ভোটের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়। গাজীপুরের নানা শ্রেণী প্রেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি মো. আজমত উল্লাহ খানের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে তাঁর নিজস্ব একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার শ্রমিকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। হাসান উদ্দিন সরকারের শ্রমিকদের মধ্যে অনেক ভোট রয়েছে। গাজীপুরে গতবারের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের এলাকায় শিক্ষাবিদ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে মান্নান গাজীপুরে রাজনীতিতে আলোচিত ও জনপ্রিয় একটি নাম। গাজীপুরে ভোটের হিসাবে অধ্যাপক মান্নান একটি বড় ফ্যাক্টর। গাজীপুরের রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নামটি হচ্ছে আহসান উল্লাহ মাস্টার। আততায়ী গুলীতে আহসান উল্লাহ মাস্টার শহীদ হলেও গাজীপুরের এখনও তাঁর কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়ে গেছে। আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভোট যেকোনো নির্বাচনে ভোটের ফলাফল বদলে দিতে পারে।  

সংখ্যালঘুদের ভোট: সংখ্যালঘুদের ভোট গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম আরও একটি বড় বিষয়। জানা যায় গাজীপুর সিটিতে সংখ্যালঘুদের ভোট আছে প্রায় সোয়া লাখের উপরে। যেকোনো নির্বাচনে সবসময় সংখ্যালঘুদের ভোট আওয়ামী লীগের পক্ষেই থাকত। কিন্তু বিগত নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল বেশি। অবশ্য ইতিমধ্যে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থনও জানিয়েছেন গাজীপুরের সংখ্যালঘুদের সংগঠনগুলোর একাংশের নেতাকর্মী। আসন্ন সিটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে মরীয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।

জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত ইমেজ: আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তাঁকে অন্যান্য মেয়র প্রার্থী থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রেখেছে। জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম তিতুমীরের কাছ থেকে জানা যায়, জাহাঙ্গীর শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ যাবৎ ২৩ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা হয়েছে। গাজীপুরের অনেক স্কুল কলেজ ও বিদ্যালয়ের বিতরণ করা হয়েছে। গাজীপুর মহাসড়কে যানজট নিরসনে ৩২০ জন ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও গাজীপুরের অনেক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে এলাকার কেউ সাহায্য-সহযোগিতা চেয়ে কোনদিন খালি হাঁতে ফিরে আসে নাই। নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রেও তাঁর এইসব উন্নয়নমূলক কাজ যথেষ্ট প্রভাব থাকবে বলেই ভাবা হচ্ছে। 

গাজীপুরে ভোট গ্রহণ হতে সামান্য কিছু সময় বাকি। কথায় বলে ভোটের ক্ষেত্রে বাপকেও বিশ্বাস করা কষ্টকর। তাই যতই হিসাব নিকাশ করা হোক না কেন ভোটের দিনে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ভোটার। সকল জল্পনা কল্পনা শেষে কে হাসবে বিজয়ের হাসি তার জন্যে আমাদের ভোট গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের পর সমাধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে এক মাসের জন্য আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন বেতন-ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এই চিকিৎসকরা হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখে। তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চিকিৎসকদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে। ওরা কাজে যোগদান করুক। কিছুদিন সময় লাগবে। ঈদের পর হয়তো বলতে পারবো কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।

এর আগে গত শনিবার (২৩ মার্চ) চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যৌথ ৪টি দাবি হলো :-

১. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।

২. পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।

৩. ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।

৪. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী   ইন্টার্ন চিকিৎসক   ডা. সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায়  প্রধান অতিথি  হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে। 



মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, জলজসম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। তিনি জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। 

সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের পুরস্কার বিতর্কে যা বললেন আইনজীবী

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ড. ইউনূস দেশে ফিরলে, আসল কাহিনী জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অপমান ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিনি নিজেই সমুদ্র তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস যে বাকু সম্মেলনে গিয়েছিলেন সেখানে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নয় দেশের সাবেক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিলিতভাবে তাকে এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন ইউনূস সেন্টার থেকে কোনো কর্মচারী এই পুরস্কার নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূস তো সেখান থেকে এটা প্রকাশ করেননি। তিনি দেশে আসলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। 

তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটাকে প্রতারণার নাম দেয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।

এর আগে গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টেও তার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


ড. ইউনূস   পুরস্কার বিতর্ক   দ্য ট্রি অব পিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।  

এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়। 

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় সংসদ   স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী   আইপিইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ২৯ রমজানেও খোলা থাকছে অফিস!

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
 
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।

তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।

এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।


সরকারি অফিস   ঈদুল ফিতর   অফিস টাইম   রমজান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন