নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২৬ জুন, ২০১৮
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ২৩২ কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ২৩২ কেন্দ্রের ফলাফলে, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২,৬২,০৩৯ ভোট। আর বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১,১৬,৪২৫ পেয়েছেন ভোট। ফলাফলে দেখা যায় আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম ১,৪৫,৬১৪ ভোটে এগিয়ে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারণার শেষ দিন গত রোববার থেকেই মাঠে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ নির্বাচনে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় ইসির পক্ষ থেকে ৫৭ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক ৫৭টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ছিলেন দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক।
গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
২০১৩ সালে ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর হচ্ছে আজ। বুধবার
(২৪ এপ্রিল) ওই ঘটনায় বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা এখনো পুনর্বাসন বা বিচার পাননি বলে জানিয়েছেন।
তাদের দাবি, অবিলম্বে ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও পুনর্বাসন করা হোক।
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় ১১ বছর আগের ২৪
এপ্রিলে রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়েন কয়েকটি পোশাক কারখানার ৫ হাজারের মতো শ্রমিক।
কয়েকদিনের উদ্ধার তৎপরতায় ১,১৭৫ জনের লাশ তুলে আনা হয়। পঙ্গুত্ব
বরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন।
ওই সময় জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের
রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএ কর্মকর্তারা
রানা প্লাজায় আসেন। তারা ওই ভবনের গার্মেন্ট মালিকদের পরামর্শ দেন-বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের
দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়।
তবে পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পর দিন
(২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের
মালিক খালেক ও সোহেল রানা। পরে এ দিনই (২৪ এপ্রিল) ধসে পড়ে রানা প্লাজা।
ওই ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের মৃত্যুতে দায়িত্বে
অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে
অপর মামলাটি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আর ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি
নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দায়ের করা এসব মামলার বিচার চলছে ধীরগতিতে। আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত
হওয়া সেই ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার অভিযোগে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা
মামলাটির জট খোলেনি এখনো। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে এটি। হাইকোর্টে শুনানির
কোনো উদ্যোগ নেই।
এদিকে ১১ বছরেও এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বাঁচার লড়াই করছেন অনেকেই। অসুস্থতা
আর দারিদ্র্যতা নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসলেও কেউ তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসেনি বলে
অভিযোগ শ্রমিকদের।
রানা প্লাজার আহত শ্রমিক তাসলিমা বেগম বলেন, মেরুদণ্ড ও পায়ে আঘাত
পাইছি আমি। এত বছর ধরে কাজ করতে পারি না। অনেক কষ্টে পরিবার নিয়ে আছি। রানা প্লাজা
ধসের এত দিন হয়ে গেছে আমাদের কেউ খবর নেয় নাই। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। আমাদের
ন্যায্য পাওনা বুঝায় দেওয়া হোক।
রানা প্লাজার একটি কারখানার সুইং অপারেটর নীলুফা বেগম ধসে পড়ার
ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, রানাপ্লাজা ধসে পড়ার এত বছর হয়ে যায়, তারপরও
আমাদের কোনো খোঁজ কেউ নেয় না। আমার একটা পা মারাত্মকভাবে আহত। অপারেশনের জন্য ৭ লাখ
টাকা লাগবে। আজ পর্যন্ত বায়ার, মালিক কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো খোঁজখবর
কেউ রাখেনি। বিনা চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের
আইনবিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছরে এসেও
আমাদের দাবি যেগুলো ছিল তার কিছুই পূরণ হয়নি। চিকিৎসা আর পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া
হয়নি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারগুলো মানবেতর দিন পার করছে। তাই সরকার ও বিজিএমইএর
প্রতি দাবি দ্রুত শ্রমিকদের কিছু সহায়তা দেওয়া হোক।
এদিকে, রানা প্লাজায় হতাহতদের স্মরণে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে
সাভার রানা প্লাজার সামনে ‘রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর : হাজারো প্রাণ ও স্বপ্নের
গল্প’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক
সংহতি।
এতে চার আলোকচিত্রীর তোলা ছবি ও পোশাক শ্রমিকদের সন্তানদের সাতজনের
আঁকা ছবি, জীবিত থাকা অবস্থায় স্টুডিওতে তোলা ২০ শ্রমিকের ছবি প্রদর্শন করা হয়।
এর মধ্যে একটি ছবি নিহত শাহেদুলের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে স্টুডিওতে
ছবি তুলে, ব্যাকড্রপে উড়োজাহাজের ছবি দেওয়া। হয়তো উড়োজাহাজে চড়ার স্বপ্ন ছিল তার।
আরেকটি ছবি ছিল নিহত আঁখির। হয়তো সমুদ্র ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু
যাওয়া হয়নি কখনো। তাই স্টুডিও থেকে স্বপ্নের ছবি তৈরি করিয়ে নেন সেই সমুদ্রের পাড়ে।
আখি আক্তার (১৮) ও তার বন্ধুরা রানা প্লাজার সপ্তম তলার নিউ ওয়েব স্টাইল লিমিটেড কারখানায়
কাজ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ-১৪২০ (১৪ এপ্রিল, ২০১৩) এই ছবিটি তোলা। তার
ঠিক ১০ দিন পর ২৪ এপ্রিল ২০১৩ রানা প্লাজা ধসের পর থেকে আঁখি নিখোঁজ। এই ছবির কেবল
একজন বেঁচে আছে। আঁখিসহ এই ছবির সবাই নিহত বা নিখোঁজ।
আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এসব শ্রমিকের
প্রাণ ও স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায়। রানা প্লাজার সামনে প্রদর্শনী করে আবারও সেই অতীতের
স্মৃতিকে সামনে আনা হয়েছে। এ ঘটনাকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তরুণদের লড়াইয়ে প্রেরণা
দিতেই এই প্রদর্শনী। রানা প্লাজার শ্রমিকদের মতো যাতে আর কাউকে অকালে মরতে না হয়, এ
প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক
বছর পূর্তি আজ। গত বছর এই দিনে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মো.
সাহাবুদ্দিন। তিনি এমন এক সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের
ভবিষ্যত নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ঘিরে দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের
ডালপালার কথা শোনা গিয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতি গোটা দেশ সহ বিশ্বেরও চোখ ছিল বঙ্গভবনের
দিকে। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে গণতন্ত্র যেন এক কালো মেঘ
দ্বারা আচ্ছন্ন হতে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি তার মেধা, মনন এবং বিচক্ষণতার
সাথে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
নির্বাচনের পরপর নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি মার্জিত এবং পরিমিত বোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র
নিয়ে যে নানা রকম আশঙ্কা কথা শোনা গিয়েছিল এ সময় জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি নিজেকে
সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন। একজন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হলে যে
তিনি জনবান্ধব হন এবং আদর্শের প্রতি অবিচল থাকেন তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন
করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন
বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে
অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা
জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর
ডিগ্রি লাভ করেন। পরে পাবনা শহীদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান
হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক আইনে তিনি তিন বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শেখ
মুজিব হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৬ সালে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান,
এবং ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত
জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ অনুসন্ধানে
গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেব দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির
চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ ২০২২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক পুত্র সন্তানের
বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ সফর করবেন। সফরকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি আগ্রহপত্র সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিন স্বাগত জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’
তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
আগামী শুক্রবার থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরা-লংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাচাও-উহুয়া এবং রানী সুধিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ। গত বছর এই দিনে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি এমন এক সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ঘিরে দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের ডালপালার কথা শোনা গিয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতি গোটা দেশ সহ বিশ্বেরও চোখ ছিল বঙ্গভবনের দিকে। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে গণতন্ত্র যেন এক কালো মেঘ দ্বারা আচ্ছন্ন হতে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি তার মেধা, মনন এবং বিচক্ষণতার সাথে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।