নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভিসির বাড়িতে হামলার বিষয়ে ভাবতেও লজ্জা লাগে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা আরও লজ্জার বিষয়। কারণ আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা কি এমন মেধাবী হয়ে গেলো যে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, পাশ করছে তারা মেধাবী নয়? তাঁরা এ ধরনের কথা বলে কীভাবে? হঠাৎ করে আন্দোলনে যাওয়ারই বা কি দরকার আছে?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘আন্দোলন করলে করবে, কিন্তু ভাঙচুর করা, ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা, সেখানে ভিসির পরিবার লুকিয়ে থেকে জীবন বাঁচিয়েছে। আমরাও আন্দোলন করেছি। খুব বেশি হলে ভিসির বাড়ির একটা ফুলের টব ভাঙা হতো। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা কখনোও চিন্তাও করতে পারেনি, যে তার (ভিসির) বাড়ির মধ্যে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেবে। ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে লুটপাট করা, চুরি করা এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না।’
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের মহান আত্মত্যাগে স্বাধীনতা এসেছে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানি ভাতা দিয়ে সম্মান দেওয়া যায় না। তবে আমি চাই না তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) কেউ কষ্ট পান।’
উচ্চ আদালতের রায়ের পরও শিক্ষকসহ সমাজের জ্ঞানীরা কোটা আন্দোলনকারীদের কীভাবে সমর্থন দিচ্ছেন এমন প্রশ্নও তিনি তোলেন এসময়। যুদ্ধাপরাধীরা যেন রাষ্ট্র পরিচালনা ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে না আসতে পারে- সেদিকে খেয়াল রাখতেও সকলের কাছে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন এরর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা গেইটে ঈদ পূণর্মিলনী সভা করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিক মিজান অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের নির্দেশে তার ভাই, ভাতিজা সহ অন্তত ৮/১০ জন যুবক সাংবাদিক মিজানের ওপর হামলে পড়ে বলে প্রত্যরক্ষদর্শীরা জানান।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া পরামর্শ দেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের থেকে জানা যায়, উপজেলা আ'লীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি অসহায় পরিবারে জায়গা দখলের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচারে জেরে তার ওপর হামলা হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর এর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি।
সাংবাদিক আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ মিজানুর রহমানের উপর হামলা হচ্ছে দেখে আমরা কয়েক জন মিলে তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মো গোলাম কবির বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ,পাঠাগার সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন মুন্নী নির্বাহী সদস্য শাকের বিন ফয়েজ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের যথাযত আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক। তারা এই ন্যা ক্কারজনক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যীবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক মিজান হামলা
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন