নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৪ এএম, ২১ জুলাই, ২০১৮
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর এই গনসংবর্ধনাকে উপলক্ষ করে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, তাঁর সাফল্যগাথা ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সংবলিত রঙ বেরংয়ের বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।
প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানকে সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায় দু সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে সংবর্ধনাস্থল। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার মুখেই ইংরেজি বর্ণ এল আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
শুধু সংবর্ধনাস্থলই নয়, প্রধানমন্ত্রীর এই গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীকেই বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যগাঁথা সংবলিত বিলবোর্ড-প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে ও আলোকসজ্জার আয়োজনও করা হয়েছে।
শাহবাগ থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী রাস্তাগুলোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বড় ফটোগ্রাফ, বিলবোর্ড ও স্টিকারে দেশের উন্নয়নে তাঁর অসামান্য অর্জনের কথা শোভা পাচ্ছে। শাহবাগের অদূরে শেরাটন মোড়ে বেশ কিছু নৌকা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তাতে লেখা রয়েছে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা।
নগরীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউর রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে ‘রাজসিক বিহার’ ভাস্কর্যের চারদিক ঘিরে বসান হয়েছে অনেকগুলো নৌকার অস্থায়ী প্রতিরূপ। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন এলাকার রাস্তাজুড়ে বসান হয়েছে অসংখ্য রঙ-বেরংয়ের প্ল্যাকার্ড। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘তুমি শেখ হাসিনা, তুমি অনন্যা’, ‘সফলতার স্বর্ণযুগ, তুমি শেখ হাসিনাই অগ্রদূত’ প্রভৃতি প্রশংসাসূচক কথা লেখা রয়েছে। এছাড়া প্ল্যাকার্ডগুলোতে শেখ হাসিনার বিভিন্ন ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।
নগরীর যেসব রাস্তায় এসব ব্যানার, ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে সেগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাতের বেলা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উন্নয়নের গল্পগুলো রঙ্গিন আলোতে আমাদের সামনে প্রতীয়মান হচ্ছে।
দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় আজ শনিবার বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।