নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ২২ জুলাই, ২০১৮
আগামী ৩০ জুলাই একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই তিন সিটির নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের চলছে প্রচারণার ব্যস্ততা। বিভিন্ন জোটের নেতা কর্মীরা তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনতে গ্রহণ করছে নানা কৌশল। তবে রাজশাহীতে নির্বাচনী প্রচারণার দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পাশে জোটের নেতারা থাকলেও, বিএনপি প্রার্থীর পাশে ২০ দলীয় জোটের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি নির্বাচনে মহাজোটের সমর্থন পেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
মনোনয়ন পাওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বিএনপির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব, কলহ-বিভেদ ও জোটের শরিকদের অসহযোগিতার কারণে একাই হাঁটছেন ধানের শীষের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
রাজশাহীতে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি সিদ্দিক হোসাইনও জোট থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি জোট থেকে মনোনয়ন পাননি। রাজশাহীতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জামায়াতের নেতাকর্মীদের সকল ব্যস্ততা ও মনযোগ তাদের দলের ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও দুইজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণায়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, স্থানীয় বিএনপির মাঝে রয়েছে নানা দ্বন্দ্ব ও কলহ। বুলবুলের কাছে মিনু মহানগর সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন। তাই সাবেক মেয়র মিনুর অনুসারীরা পুরোপুরি বুলবুলের প্রচারণায় আসেনি। মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তার অনুসারীদেরকেও ভোটের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বুলবুল নিজেকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদিন প্রচারনায় অংশগ্রহণ করলেও জোটের প্রধান শরিক জামায়াত বুলবুলের হয়ে মাঠে নামেনি। এছাড়া রাজশাহীতে ২০ দলীয় জোটের অন্য দলগুলোর অবস্থা প্রায় অস্তিত্বহীন।
অপরদিকে রাজশাহীতে ১৪ দলের মুখপাত্র ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা সিটি নির্বাচনে ১৪ দলের মেয়র প্রার্থীর হয়ে কাজ করার জন্য নিজ দল ও ১৪ দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওয়াসিউর রহমান দোলন গত ৭ জুলাই লিটনকে সমর্থন দিয়ে মেয়র পদে থেকে সরে দাঁড়ান।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচারণায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। রাজশাহী শহরে বসবাসরত ৯ উপজেলা ও আট জেলার মানুষ নিজেরাই আলাদা আলাদাভাবে লিটনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন