নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ২২ জুলাই, ২০১৮
দেশের সব পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ওই চুক্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ১৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালকে ১৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম দিয়ে রাখব। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনুযায়ী উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দেব। আগামীকাল সোমাবারের মধ্যেই এই টাকা ছাড় দেওয়া হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে একজন মুক্তিযোদ্ধা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহযোগিতা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, বরাদ্দ দেওয়া অর্থের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হবেন উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে সিভিল সার্জন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি, বিশেষায়িত হাসপাতালে হাসপাতালের প্রধান বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি। তাঁরা টাকা উঠাবেন, ব্যয় করবেন এবং হিসাব রাখবেন, এটা অডিট হবে। এটা রিভলভিং ফান্ডের মতো, খরচ করার পর তিনি চাহিদা দেবেন। দেওয়া টাকার ৭৫ শতাংশ খরচের পর তাঁরা আবার টাকা চাইবেন, যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। চাওয়া মাত্রই ওনারা পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ওষুধপত্র, বিভিন্ন টেস্ট, হাসপাতালের সিট ভাড়া, সেগুলো যা যা আছে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁর পকেট থেকে কোনো অর্থই ব্যয় করতে হবে না।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আজকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নানারকম অসুখে আক্রান্ত। মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমরা পালন করছি। আমি কথা দিচ্ছি, আমরা এটি সম্পাদন করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।