নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২৩ জুলাই, ২০১৮
কয়লা সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনির উপর নির্ভর করে স্থাপিত ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখার জন্য প্রতিদিন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে কেন্দ্রটির একটি ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকায় কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন চার হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছিল। এর মধ্যেই কয়লাখনির বাৎসরিক শিফট পরিবর্তনের সময় চলে আসে। নিয়ম হচ্ছে, শিফট পরিবর্তনের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রাখতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ এবার মাত্র ১০ হাজার টন কয়লা মজুদে রাখে, যা কেন্দ্রটি চালু রাখতে যথেষ্ট নয়। কিন্তু কাগজে কমলে পিডিবিকে তারা এক লাখ টনের বেশি কয়লার মজুদ দেখায়। যার ফলে পিডিবি বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করেনি। গত সপ্তাহে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) সাঈদ আহমেদ বড়পুকুরিয়া খনি পরিদর্শন করতে গেলে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। কর্তৃপক্ষের এই অনিয়ম ও অবহেলার শিকার হয়েই বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেল।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ও ১২৫ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নং ইউনিটটি মেরামতের জন্য কয়েকমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কয়লা সংকটের কারণে একই ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটটিও গত ২৯ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার জ্বালানি সংকটের কারণে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নং ইউনিটটিও গত রাতে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির কর্মকর্তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।