নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০১৮
ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে বিএনপির দুই নেতার কথোপকথনের অডিও ফাঁসের পর বেকায়দায় পড়েছে রাজশাহী বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হয়ে তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার রাজশাহীর সাগরপাড়ায় বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পথসভায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে তখন এ ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়। তবে অডিও ফাঁস হওয়ার পর দেখা যায় এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। এর পর থেকেই রাজশাহীতে বিএনপি বেশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
গত শনিবার দিবাগত রাতে এই বোমা বিস্টেম্ফারণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু এবং বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়। অডিও ফাঁসের পর পুলিশ মন্টুকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীর মাঝে নতুন করে দেখা দিয়েছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক।
বিএনপি স্থানীয় কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনার পর বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা সিটি নির্বাচনে গ্রেপ্তারের ভয়ে মাঠে নামছেন না। এ অবস্থায় মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সামান্য কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলটির অধিকাংশ নেতাকেই দেখা যাচ্ছে না। এখনও জোটের অন্যাতম শরিক জামায়াতও মাঠে নামেনি বুলবুলের পক্ষে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা দেখা যায়, স্থানীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও গাজীপুর ও খুলনায় নব নির্বাচিত দুই মেয়রকেও। আওয়ামী লীগের মেয়র পার্থী যেখানেই নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছেন, সেখানেই দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় অনেক ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিটি নির্বাচনে খায়রুজ্জমান লিটনের সবথেকে বড় পুঁজি হলো, তিনি আগের মেয়াদে মেয়র থাকাকালে রাজশাহী সিটিতে অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বুলবুলের মেয়াদে তেমন কিছুই হয়নি। যে কারণে অনেক ভোটারদের ভাবনা যে, সিটি মেয়র যেই হোক না কেন তিনি যদি ক্ষমতাসীন দলের মেয়র না হায় তাহলে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব না।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।