নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৫ জুলাই, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘এখানে কে কোন দল করে, কে কী করে-সেগুলো দেখার কোনো দরকার নেই। যদি কেউ বাধা দেয়, আপনারা সরাসরি আমার সঙ্গে বা আমার অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। সরকারপ্রধান হতে পারি, আমি কিন্তু জাতির পিতার কন্যা, আপনাদের সেটাও মনে রাখতে হবে। আমরা সমাজ থেকে এসব অশুভ তত্পরতা নির্মূল করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
বন্দরনগরীর রাস্তায় ডিঙিতে যাতায়াত
টানা বৃষ্টিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অর্ধেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে নগরীর জনজীবন এক প্রকার থমকে যায়। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপস্থিতি ছিল কম। নিচু এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। রাস্তা দিয়ে নৌকা চলাচল করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে লাল ডিঙিতে চড়ে চলাচল করেছেন কর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। (যুগান্তর)
খনির এমডিসহ ৪ জনের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
কয়লা খনি দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ চারজনের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে এক লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে প্রায় দুইশ` কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। (সমকাল)
আসন ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ, পুনরুদ্ধারে মাঠে বিএনপি ।। সিরাজগঞ্জ
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনও ঢের বাকি। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীরা এতটুকু সময় নষ্ট করতে চান না। ভরা বর্ষায় যমুনায় উত্তাল ঢেউ যেমন ছুটে চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তরে। ঠিক তেমনি যমুনাপাড়ের সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনেই বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটছেন প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে, আবার তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের কাছেও। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত সিরাজগঞ্জের সব কটি আসনই রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। আগামী নির্বাচনেও সবগুলো আসনই ধরে রাখতে অন্যদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কয়েকটি আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীরাও সময় নষ্ট না করে ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তবে অনেকগুলো আসনেই বড় এই দু’দলের প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকায় কোন্দল-বিভক্তিরও যেন কমতি নেই। দ্রুতই এই বিভক্তি দূর করে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ঘরেই জয় আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটার, সমর্থকরা। (জনকণ্ঠ)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদন : মাদক ব্যবসায় রাজনীতিবিদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!
মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের তালিকায় রয়েছে রাজনীতিবিদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নাম। রাজনৈতিক দলের নেতাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়েই রমরমা মাদক বাণিজ্য চলছে। অভিযুক্তদের অনেকে তালিকায় তাদের নাম থাকার বিষয়টি অবগত হয়ে সেখান থেকে নাম বাদ দিতে যেমন তদবির চালাচ্ছেন, তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে লিখিত আবেদনও করেছেন অনেকে। দুমাসের বেশি সময় ধরে চলা মাদকবিরোধী অভিযানে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। চুনোপুঁটিরা গ্রেপ্তার হলেও বহাল তবিয়তে থাকাসহ তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুক্ত বাতাস ও আলোতে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক কারবারী ছাড়াও এর পৃষ্ঠপোষক-গডফাদার ও সহায়তাকারীদের নামের সরকারি একটি তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। (ভোরের কাগজ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।