নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৫ জুলাই, ২০১৮
কক্সবাজারে পাহাড়ধসে একই পরিবারের চার শিশুসহ পাঁচ শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সময়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের নিহত চারজন সম্পর্কে ভাই-বোন।
একই পরিবারের নিহত চার শিশু হলো, ওই এলাকার জামাল হোসেনের মেয়ে মর্জিয়া আকতার (১৪), কাফিয়া আকতার (১০), আবদুল খাইর (৮) ও খাইরুন্নেছা (৬)। কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এবিসি ঘোনায় এই চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মামা খোরশেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর গতকাল ভোরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড় বাড়ির উপর ধসে পড়ে। এতে ঘুমন্ত চার শিশু মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। তাদের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই চার শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজারের রামু উপেজলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া গ্রামে পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে মোর্শেদ আলম (৬) নামে আরও এক শিশু। মোর্শেদ আলম একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২২৮ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে আরও পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।