নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০১৮
সিটি নির্বাচনী প্রচারণা আর কিছু সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রচারণাযুদ্ধ শেষে এখন ভোটগ্রহণের জন্য অপেক্ষার পালা। ভোটগ্রহণ হতে মাঝখানে আছে মাত্র একদিন সময়। এমন সময় বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা এজেন্ট সংকটে পড়েছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও পাঁচ মেয়র প্রার্থীর সব কেন্দ্রের জন্য পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না। এজেন্ট হতে তাদের প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না কেউ। এমনকি দলীয় পদে থাকা নেতাকর্মীরা অনেকেই এজেন্ট হতে রাজি নন।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে, বরিশাল সিটি নির্বাচনে এবার ১২৩টি ভোটকেন্দ্রে পোলিং বুথ থাকছে ৭৫০টি। প্রতিটি বুথে প্রার্থীরা একজন করে এজেন্ট দিতে পারেন। জাল ভোট এবং ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়ম ঠেকাতে পোলিং এজেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ছাড়া অপর পাঁচ মেয়র প্রার্থী সব বুথের জন্য এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না।
এজেন্ট সংকটের জন্য বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বাসদের প্রার্থী পুলিশ প্রশাসনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানিকে দায়ী করছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জানান, তাঁরা পুরুষ বুথে এজেন্ট দিতে পারলেও নারী বুথে পর্যাপ্ত নারী এজেন্ট পাচ্ছেন না। এসব বুথে তারা পুরুষ এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আগামী ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণের লক্ষে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।