নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৫ পিএম, ৩০ জুলাই, ২০১৮
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৩ টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছেন ৮০,৪০৩ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৮৩,৬৪৯ ভোট। ফলাফলে বিএনপি প্রার্থী ৩,২৪৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে একবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে থাকছে আবার দেখা যাচ্ছে পরের কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি এগিয়ে থাকছে। অন্য দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সহজ জয় পেলেও সিলেটে চলছে তুমুল ভোটের প্রতিযোগিতা।
এর আগে ১১৬ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিল ৭৮,৯৪৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পায় ৭৮,৭২২ ভোট। ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরান মাত্র ২২৬ ভোটে এগিয়ে ছিল।
১০৭ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিল ৭২,৪০৯ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছিল ৭৩,২৬৭ ভোট। ফলাফলে বিএনপি প্রার্থী ৮৫৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০৫ টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছেন ৭০,৮৯৪ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৬৯,৬৭৩ ভোট। ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১,২২১ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
এর আগে ৬২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিল ৩৯,২৯৯ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৪০,৮৩২ ভোট। ফলাফলে বিএনপি প্রার্থী ১,৫৩৩ ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
৪০ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পায় ২৬,৭০৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ২৫,২৯৬ ভোট। ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ১,৪১০ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
১৭ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী ৩,০৫৩ ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
আবার ৭ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিলেন ৩,৯১০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৪০৫৯ ভোট। ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী ১৪৯ ভোটে এগিয়ে ছিল।
৩ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিল ১৮৬৪ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ১৭২৬ ভোট। ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১৩৮ ভোটে এগিয়ে ছিল।
আবার ২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছিল ৫৬৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ১৩০৮ ভোট। ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী ৭৪২ ভোটে এগিয়ে ছিল।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহন।
সিলেট এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৪টি ও ভোট কক্ষ ৯২৬টি। এই সিটিতে মেয়র পদে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৭ জন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।