ইনসাইড বাংলাদেশ

অচল ঢাকা ও অন্যান্য খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

বাসচাপায় দুই ছাত্রছাত্রী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর একাধিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সড়ক অবরোধকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রায় অর্ধশত বাসে ভাংচুর চালায়। কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগও করা হয়। উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষও হয়। এতে দুই শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ফার্মগেট, শ্যামলী, নাবিস্কো মোড়, মতিঝিল, কাকরাইল, শুক্রাবাদ, শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব মোড়, মিরপুর, উত্তরা ও রামপুরার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দিনভর যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এতে তীব্র যানজট ও পরিবহন সংকটে গতকালও অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে ও যানবাহনের অপেক্ষায় থেকে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। (সমকাল)

অন্যান্য সংবাদ

রাজশাহী ও সিলেটে ‘অস্বাভাবিক ভোট’

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও কারচুপির অভিযোগের মধ্যে বেরিয়ে এসেছে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার হারও। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতে ৯০ শতাংশ বা এর বেশি এবং ৫৮টিতে ৮০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পড়েছে। এছাড়া সিলেট সিটির কোথাও ১৯ শতাংশ আবার কোথাও ৯১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ ভোট পড়ার হারকে অস্বাভাবিক মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, রাজশাহীতে একই ভোট কেন্দ্রে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদেও ভোট পড়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। (যুগান্তর)

মোটরবাইকের লাইসেন্সে বাস চালাত ওরা

ওদের কাছে পাওয়া গেছে এলসি (হালকা যান) লেখা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এর অর্থ হলো মটরসাইকেল ও হালকা যান তারা চালাতে পারবেন। তাও আবার অপেশাদার। অর্থাত্ নিজের মোটরবাইক বা প্রাইভেটকার চালানোর অনুমোদন তাদের আছে। কিন্তু ওরা চালাত পাবলিক বাস। হ্যাঁ, বলা হচ্ছে জাবালে নূর পরিবহনের তিন চালকের কথা। যে বাসগুলোর পাল্লাপাল্লিতে জীবন গেছে দুই শিক্ষার্থীর। তিনজনই র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া লাইসেন্স পরীক্ষা করে এসব তথ্য মিলেছে। যা বিআরটিএতে পাঠানো হয়েছে। (ইত্তেফাক)

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গ্রাউন্ড স্টেশন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : একদিন চন্দ্র বিজয়ের স্বপ্নও বাস্তবায়িত হবে

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠানোর পথ ধরেই একদিন বাংলাদেশের মানুষের চন্দ্র বিজয়ের স্বপ্নও বাস্তবে রূপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে এ কৃত্রিম উপগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মহাকাশ বিজ্ঞান, পরমাণু প্রযুক্তি, সমুদ্র বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন চর্চায় এ স্যাটেলাইট আমাদের প্রয়োজন মেটাবে, গর্ব ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন উদ্বোধন করতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন। (ভোরের কাগজ)

বিএমডিসির নীতিমালা থাকলেও মানা হচ্ছে না

রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ লিখতে হবে পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে। ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে উপঢৌকন বা আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওষুধ লেখা পুরোপুরি নৈতিকতাবিরুদ্ধ। আর্থিক বা অন্য কোনো সুবিধার বিনিময়ে বিশেষ কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে রোগী পাঠানোরও সুযোগ নেই। চিকিৎসকের জন্য এসব নৈতিকতা সুনির্দিষ্ট করে দিয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। যদিও চিকিৎসকদের বড় অংশই তা মানছেন না। এসব নৈতিকতা পরিপালন হচ্ছে কিনা, তারও কোনো তদারকি নেই। (বণিক বার্তা)


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।

জানা গেছে, বারার স্টুডিও’র দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলত। সম্পর্কের পর বিয়ে করে। পরে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান সাঈদ। 

ছোট বেলা থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি সাঈদ। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসে। গত ঈদুল ফিতরের দিন সাঈদের সন্ধানে টাঙ্গাইল থেকে এসেছিলেন স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা নামে এক নারী।

২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগমকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহী শহরের সংগীত শিল্পী রিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১২ সালে পাবনার চাটমোহর এলাকার কবিতাকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১৩ সালে ঢাকার সাথীকে বিয়ে করেনস তিনি। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার শাপলা খাতুনকে বিয়ে করেন সাঈদ।

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার মিতাকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। ২০২২ সালে টাঙ্গাইল মধুপুরের আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার সাভারের তিশা আক্তারকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোয়ামনিকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার রানীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালের প্রিয়াংকাকে বিয়ে করেন তিনি। ১৪তম স্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের আনারকলিকে বিয়ে করে তার সঙ্গে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ।

পঞ্চম স্ত্রী খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর পেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেন-মোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাঈদ ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দেই। কয়েকদিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গিয়েছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এ সব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই আমি। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সাঈদ পালিয়ে গেছে।

সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয় হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি।

একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী।

সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়।

সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারিনা। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের শিশুরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। 

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।

তাপপ্রবাহ   ইউনিসেফ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোরীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কিশোরীকে ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন হালদার

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

 

এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

 

জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

 

এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।


এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।


ধর্ষণ   অপহরণ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

 

কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। 

 

আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

 

এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

 

বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন। 

 

রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।


ধর্ষণ   শিক্ষকের কারাদন্ড   আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জামালপুরে ‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত

‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জামালপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে শহরের ফৌজদারী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

 

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, জামালপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

 

এ সময় বক্তারা বলেন, উচ্চ মাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান ও নিরিবিলি এলাকায় অযথা শব্দ দূষণ পরিহার করার আহবান জানান বক্তারা।     


সুস্থ পরিবেশ   স্মার্ট বাংলাদেশ   আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন