নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০১৮
এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার শর্ত। সেই সঙ্গে ফোন কানে নিয়ে গাড়ি চালালেও থাকছে শাস্তি। এমন নতুন কিছু বিধান যুক্ত ও শাস্তি বৃদ্ধি করে আসছে সড়ক পরিবহন আইন। সরকার ১৯৮৩ সালে সামরিক সরকারের সময়ে জারি করা ‘দ্য মোটর ভেহিক্যাল অর্ডিনেন্স’ (মোটরযান অধ্যাদেশ)টি আদালতের নির্দেশে পরিবর্তন করে সড়ক পরিবহন আইন নামে পাস করতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার আইনটির ভেটিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নতুন আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে গাড়ি ড্রাইভিং-এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন আইনে যা আছে
১) আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও শর্ত ছিল না। কিন্তু নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
২) চালকের সহকারীর কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। সেইসঙ্গে সহকারীর বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স থাকতে হবে।
৩) গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতোই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।
৪) আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। কিন্তু নতুন আইনে এ অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড দেওয়া যাবে।
৫) নতুন আইনের খসড়ায় চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
৬) কেউ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে নতুন আইনের খসড়ায় এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
৭) নতুন আইনের খসড়ায় ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে যেসব ক্ষেত্রে এমন অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।
৮) চালকদের জন্য প্রস্তাবিত আইনে পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়েছে।
৯) আগের অধ্যাদেশে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহারের জন্য ২ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও নতুন আইনে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
১০) দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধিতে তিন রকমের বিধান আছে। নরহত্যা হলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের সাজা হবে। খুন না হলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটালে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদণ্ড হবে। সেই সাথে দুর্ঘটনায় না পড়লেও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য আইনে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
১১) এক্সেল বা ওজনসীমা অতিক্রম (৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক এর থেকে বেশি ওজন পরিবহন ) করলে গাড়ির মালিক ও চালককে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশে চালকদের পয়েন্ট কাঁটার সিস্টেম আছে। ড্রাইভার যদি একবার দোষ করেন তাহলে একটা বা দুইটা পয়েন্ট কাটা হতে থাকে। এভাবে পয়েন্ট নিল (শূন্য) হয়ে গেলে ওই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। নতুন আইনে এমন বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে চালকদের জন্য মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও মোটরযান চলাচলে সাধারণ নির্দেশাবলী নামে একটি নতুন ধারায় ২৫টি নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে। সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালানো, মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনও যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইনের খসড়ায় মদ পান করে বা নেশাজতীয় দ্রব্য খেয়ে গাড়ি চালালে, সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালালে, উল্টো পথে গাড়ি চালালে, নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য স্থানে গাড়ি থামিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, চালক ছাড়া মোটরসাইকেল একজনের বেশি সহযাত্রী ওঠালে, মোটর সাইকেলের চালক ও সহযাত্রীর হেলমেট না থাকলে, ছাদে যাত্রী বা পণ্য বহন করলে, সড়ক বা ফুটপাতে গাড়ি সারানোর নামে যানবাহন রেখে পথচারীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, ফুটপাতের ওপর দিয়ে কোনও মোটরযান চলাচল করলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।