নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ০৬ অগাস্ট, ২০১৮
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আজ ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই বৈঠকে সড়ক আইনের খসড়া উত্থাপন করা হয়।
খসড়া আইনে নতুন কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে অষ্টম শ্রেণী পাশ করতে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও প্রয়োজন ছিল না। এছাড়া চালকের সহকারীর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। অবশ্য পুরনো আইনেও এই বিধান ছিল।
প্রস্তাবিত আইনে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলার শাস্তি রাখা হয়েছে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ধারা ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকবে। এছাড়া বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কিংবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটালে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন সড়ক আইনে আরও থাকছে, পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো বা রেস করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে এবং এক্ষেত্রে পরোয়ানা ছাড়াই চালককে গ্রেপ্তারও করা যাবে। চালকদের পয়েন্ট কাটার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হবে।
এছাড়া নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে এই আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও, দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে তার বিচার ফৌজদারি আইনেই হবে।
পরিবহন নেতাদের আপত্তিতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ঝুলছিল সড়ক পরিবহন আইন। অবশেষে এই আইন পাস করার উদ্যোগ নেওয়া হলো। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেক দাবিই পূরণ হয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।