নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ০৬ অগাস্ট, ২০১৮
গুজব ছড়িয়ে শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের নাম করে বেশ কিছু বহিরাগতও অংশ নিয়েছিল এই হামলায়। সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। গতকাল রবিবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল জিগাতলা মোড় পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একাংশ যখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকেই যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তখনই বাঁধে বিপত্তি। পুলিশ ব্যারিকেড দিলে তারা ব্যারিকেড ভেঙে অগ্রসর হতে উদ্যত ঠিক তখনই দু পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু কর্মী ছাত্রদের ধাওয়া করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে সব জায়গায়ই শিক্ষার্থীরা মিছিল সমাবেশ করছে। সরকারের তরফ থেকে তাদের সহযোগিতাই করা হচ্ছে। কোথাও পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়নি। ছাত্রলীগ নেতারাও চকলেট দিয়ে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। তাহলে কেন আওয়ামী লীগ অফিস তাদের টার্গেট হবে? (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। ওই পক্ষ নিজেদের স্বার্থে কোমলমতি এসব শিশুর ক্ষতি করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। গতকাল রবিবার গণভবন থেকে ১০ জেলার ৩০০ ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। (আমাদের সময়)
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে বহনকারী অফিসিয়াল গাড়িতে শনিবার রাতে একদল সশস্ত্র যুবক হামলা চালিয়েছে। তবে ওই ঘটনায় রাষ্ট্রদূত, তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মী ও চালক কেউই আহত হননি। রোববার ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার রাতে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এ হামলা হয়। (যুগান্তর)
ধানমণ্ডিতে ফের সংঘাত
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মিছিলের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর জিগাতলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দেশি অস্ত্র নিয়ে হেলমেট পরা যুবকরা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড, এলিফ্যান্ট রোডসহ ধানমণ্ডির বিভিন্ন এলাকা। মিছিলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন বেশি। (সমকাল)
তাগিদ কঠোর আইনের
নিরাপদ সড়কের জন্য তথা সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর আইন করার দাবি জোরালো হচ্ছে। সাত বছর ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবিত পরিবহন আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় উঠছে বলে জানা গেছে। ৭৮ বছরের পুরনো আইনের ভিত্তিতে তৈরি বিদ্যমান মোটরযান অধ্যাদেশের চেয়ে নতুন আইনের খসড়ায় লাইসেন্স ও ফিটনেসসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের সাজা বেশি রাখার প্রস্তাব রয়েছে। তবে গত বছর মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদিত খসড়ায় সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঘটালে তার শাস্তি তিন বছর রাখার প্রস্তাব ছিল। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ওই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। (কালের কণ্ঠ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।