নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৯ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০১৮
প্রতিবছর ১৫ আগস্ট ঘিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, জামায়াত-শিবির এবং জঙ্গিগোষ্ঠী কিছু না কিছু নাশকতা ও অপকর্ম করার চেষ্টা করে।
গত বছর ১৫ আগস্টেও একটি ভয়াবহ বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান করে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আয়োজিত মিছিল-সমাবেশে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে সে সময় তাৎক্ষনিক পুলিশের অভিযানের সময় বিস্ফোরণে একজন জঙ্গি নিহত হয়।
গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে এবারেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এবং বিএনপি জামাতের একাংশ ১৫ আগস্টের শোক দিবসে নাশকতা করার জন্য তৎপর রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন কোন ধরনের অপকর্ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে, সেই কারণে আগামী কাল থেকে ঢাকা শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। ১৫ আগস্টের সকল কর্মসূচী যেন নির্বিঘ্নে হয় সেই ব্যবস্থা করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
নিরাপত্তার মধ্যে আছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশেপাশে যে আবাসিক হোটেল আছে সেগুলোতে তল্লাশি চালানো হবে। ধানমন্ডি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। বিভিন্ন সন্দেহজনক স্থানে তল্লাশি চালানো হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হবে ধানমন্ডি এলাকায়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা আশা প্রকাশ করছে এবারে নির্বিঘ্নে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করা যাবে। ১৫ আগস্ট ঘিরে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।