নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮
অবশেষে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গতকাল ১৩ আগস্ট ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদপত্র ‘ডেইলি কলার’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে পারে বলে উল্লেখ ছিল। রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার কথা ডেইলি কলারকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ. মাহমুদ আলী এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন।
রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা এবং ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন সময়ে তার অবস্থানের কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তিনি ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে ঢোকার পরে ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। তিনি নাইরোবি, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়া দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরেই রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন ২০১৪ সালে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে লিখেছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত একজন খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছে। এই বিচারহীনতা শেষ হতে হবে। রাশেদ চৌধুরীর দেশে ফেরত যাওয়ার সময় এখন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ. মাহমুদ আলী ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জন ডে সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১ আগস্ট রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন।
এরপর রাষ্ট্রদূত ডেইলি কলারকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রহ দেখানোর ফলে তারা এ বিষয়ে আশাবাদী। আর এ বিষয়ে ট্রাম্পের মনোভাব বেশ পরিষ্কার। বাংলাদেশের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও এ বিষয়ে ওবামা প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে তারা কিছুটা হতাশও। আর যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি এ.কে.এম. মহিউদ্দিনকে ২০০৭ দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। এই মেয়াদে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরে পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।