নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত কবরে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতিও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে। এসময় তাঁরা নীরবতা পালন করেন।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে অন্য নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আবারো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। দলীয় নেতাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি ঐতিহাসিক বাড়িটি ঘুরে দেখেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
শোক দিবস উপলক্ষে আজ বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায়ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সংবাদপত্রগুলো ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে এবং টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন কাজে শ্রমিকদের মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুই সহদর নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দুই সহদরের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নে ঘোপঘাট গ্রামে। তবে আহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুর গণপিটুনি নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যু
মন্তব্য করুন
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের
বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে গেছে। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র
একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে করেছেন।
নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র
সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা
পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে
ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের
সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের
বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল দূর্ঘটনা
মন্তব্য করুন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত
বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই
করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত
করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান
দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা
যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব
কথা বলেন।
চলচ্চিত্রগুলোকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা
দেখে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়েছেন। এ সময়
চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘সরকারি অনুদান
দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম
শুরু করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের
স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা
শুরু হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান পাওয়ার জন্য
আবেদন করা মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ৪৫টি
চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে’।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাছাই কমিটির
সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করা চলচ্চিত্রের
প্রস্তাবনার উপর আলাদা আলাদাভাবে নম্বর দিয়েছেন। পরে সব সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে
সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র
সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল
ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র
নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ,
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়।
চলচ্চিত্র সচিবালয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত
মন্তব্য করুন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।