নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হত্যাচেষ্টা ছিল গভীর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন যা আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের করা যুক্তিতর্কের উপস্থাপনে বারবার ফুঁটে উঠেছে।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সৈয়দ রেজাউর রহমান। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন দ্বিতীয় দিনে সৈয়দ রেজাউর রহমান এই গ্রেনেড হামলার পেছনে বিএনপি-জামাত জোট সরকার, বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে দায়ী করেন।
রেজাউর রহমান বলেন, `আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল হওয়াতেই ধর্মভিক্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো এবং তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা বিভিন্ন স্থানে টার্গেট নেয়।`
যুক্তিতর্কে রেজাউর রহমান বলেন, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আন্তর্জাতিকভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয় বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি রেজাউর রহমান।
রেজাউর রহমান ওই হামলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে বলেন, `বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন জামায়েতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ, তেহেরিক ইসলাম, লস্কর-ই-তৈয়েবা, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সলিডরিটি-আরএসও অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একত্রিত হয়।’
এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির দুই নেতা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সংশ্লিষ্টতার কথাও আদালতে বলেছেন রেজাউর রহমান।
তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন পাকিস্তানে অবস্থানরত অবস্থায় লস্কর-ই-তৈয়েবাসহ একাধিক কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, আদালতে এমন তথ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট সরকার আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সংগঠিত করে প্রশাসনিক ও আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়।`
প্রবীণ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান ২০০৮ সাল থেকে প্রধান সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের সমাবেশে কারা এবং কেন হামলা করেছিল সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।