নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৮
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় হাইকোর্ট চত্বর সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মুসল্লিরা দেশের প্রধান এই ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন মুসলিম দেশের কূটনীতিকবৃন্দ।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ এহ্সানুল হক। নামাজ শেষে তিনি দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করেন।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সাধারণ মুসল্লিদেরও নামাজ শেষে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
সকাল থেকেই দেশের প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নিতে দলে দলে মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহে আসতে শুরু করে। শিশু, যুবক, বৃদ্ধরা পাঞ্জাবি-পাজামা-টুপি পড়ে জাতীয় ঈদগাহে উপস্থিত হন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে ঈদগাহের বাইরে রাস্তায়ও নামাজ আদায় করেছেন।
ঈদ জামাত উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশেপাশের এলাকায় চারটি কন্ট্রোল রুম বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।