নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৬ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৮
রাজধানীর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে চাকরি করেন সাকিব রহমান। সংবাদ মাধ্যমের চাকরি হওয়ার কারণে ঈদের ছুটি পাননি। এবারের ঈদুল আজহা তাই ঢাকাতেই কাটাচ্ছেন। ঈদের এই সময়টাতে সাধারণত বাসার পাশে শ্যামলী বা অফিস এলাকা শঙ্করের হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাওয়া দাওয়া করেন সাকিব। অভ্যাস অনুসারে আজ বৃহস্পতিবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকালের নাস্তা করতে অফিসে আসার পথে শ্যামলী এলাকায় রেস্টুরেন্ট খোঁজে করেন সাকিব। কিন্তু সব রেস্টুরেন্টই বন্ধ। অফিসে এসে ধানমন্ডি ২৭, শঙ্কর এলাকাও চষে বেড়িয়েছেন। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। পরে চায়ের টং দোকান খুললে সেখান থেকেই কলা-পাউরুটি কিনে সকালের নাস্তা সারেন সাকিব রহমান।
এই গল্প সাকিব রহমানের একার নয়। রাজধানীর দিনমজুর, ব্যাচেলার, শিক্ষার্থী, অফিস পাড়ার মানুষ; যারা সামর্থ্য অনুযায়ী কম দামী থেকে মোটামুটি দামের হোটেল-রেস্তোরায় খাওয়া-দাওয়া করেন তারা ঈদ আসলেই এমন ভোগান্তিতে পড়েন।
সারা বছর রাজধানী জনমানুষে পরিপূর্ণ থাকলেও ঈদের সময় ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা থাকে। বেশিরভাগ ঢাকাবাসীই নাড়ির টানে ঈদ করতে গ্রামে চলে যাওয়ায় জনমানুষ শূন্য রাজধানীতে দোকানিরাও আর থাকেন না। তাঁরাও দোকানপাট গুটিয়ে বাড়ি চলে যান পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। তাই যারা শিক্ষাগত বা পেশাগত বিভিন্ন কারণে গ্রামে যেতে পারেন না তাঁরা খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ে যান। ক্ষুধা মেটানোর জন্য প্রতিদিন যে হোটেল-রেস্তোরায় তাঁরা হানা দিতেন সেগুলোর বন্ধ দরজা তখন তাঁদের হাত পুড়িয়ে রান্না করে খেতে বাধ্য করে। কর্মব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাবে এই বাড়তি কাজটি অনেকের জন্যই চাপ হয়ে যায়।
রাজধানীর হানিফ বিরিয়ানি, নান্না বিরিয়ানি, স্বাদ বিরিয়ানির মতো বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকানগুলো এখন বন্ধ। বন্ধ আছে পাড়া-মহল্লার ভাতের হোটেলগুলোও। মতিঝিল, গুলশানের অফিস পাড়ার সব কটি দোকানও ঈদ উপলক্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এ মুহূর্তে ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য হোটেল-রেস্তোরার বাইরে অন্য উপায় খুঁজতে হচ্ছে ঢাকায় অবস্থান করা মানুষকে।
শুধু হোটেল-রেস্তোরাই নয়, ঈদ উপলক্ষে বন্ধ আছে শহরের প্রায় সব কটি ফাস্টফুডের দোকান। পাড়ার অলি-গলি, বিভিন্ন শপিং মলের ভেতরে-বাইরে গড়ে ওঠা ফাস্টফুডের দোকানগুলোতেও এখন শুধুই শুন্যতা। এসব দোকান থেকে কিছু খেয়ে যে মানুষ পেটপূর্তি করবে এমন সুযোগও নেই।
এর পরও কিছু কিছু এলাকায় দু একটি খাবারের দোকান খোলা আছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সেখানে খাবার বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। কোনো বিকল্প না থাকায় বেশি দামেই সেই খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা আর অপেক্ষা করছেন ঈদের ছুটি শেষে কখন গমগম করে উঠবে রাজধানী। কখন স্বাভাবিক হবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বেচা-বিক্রি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।