ইনসাইড বাংলাদেশ

জামাত-বিএনপি সম্পর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

জামাতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক বেশ পুরনো। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জামাত বিএনপির সাথে যুক্ত আছে। মূলত শুরু থেকেই বিএনপি নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করার জন্যই জামাতকে ইন্ধন দিয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরোধিতা করায় স্বাধীন দেশে জামাতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জামাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে জামাত আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। ১৯৭৯ সালের দিকে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে গঠন করা হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামাত জোটের বয়স প্রায় ৩৮ বছর। বিএনপি-জামাত সরকার জোটবদ্ধ হয়ে একসাথে দু’বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ক্ষমতা হাতে নিয়েছে একবার। তবে বহু পুরনো এ সম্পর্কে এবার চিড় ধরেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জামাতের আন্দোলন করার কথা থাকলেও, রাজপথে সেই ভাবে সক্রিয় দেখা যায় নি জামাতকে। খালেদা জিয়ার সাজা বিএনপির দলীয় ইস্যু দাবি করে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে জামাত। প্রকাশ্যে একসাথে কোথাও সমাবেশ বা মিছিল করতে দেখা যায় নি তাদের।

নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপনে দল গোছাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আগে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করতে বেশ আগে থেকেই বিএনপির ওপর আসছে নানা দেশি-বিদেশি চাপ। সাম্প্রতিক সময়ে জামাত-বিএনপি সম্পর্ক নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে তর্ক-বিতর্ক। দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেই দাবি করছেন, বিএনপি-জামাত সম্পর্ক এখন ভাঙ্গনের পর্যায়ে। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি বিএনপি। সেই ভিত্তিতেই এখন পর্যন্ত ১৯ দলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে জামাত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপির জনসমর্থন পাওয়া অনেকটাই কষ্টকর হবে। এ নিয়ে বিএনপিতে অনেক মতভেদ রয়েছে। জামাতের সাথে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এক পক্ষ দাবি করছে জামাতকে বিএনপির সাথে রেখেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। অপর পক্ষের দাবি, জামাতকে নিয়ে নির্বাচন করলে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না। জামাতকে নিয়ে বিএনপি আছে এখন উভয়দ্বন্দ্বে। এদিকে জোট ভাঙ্গার গুঞ্জনকে যেন আমলেই নিচ্ছে না জামাতের নেতারা। বিএনপির সাথে জোট ভাঙ্গার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে জামাতের সিনিয়র এক নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামাতের জোট ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনাই নেই।

এবারের তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে দল দু’টির মধ্যে সম্পর্কের টানা পোড়েন দেখা গেছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে জামাতের মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের প্রার্থীতা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কে মনোমালিন্য দেখা যায়। তিন সিটি নির্বাচনে জামাত অন্তত একটি আসনে জয়লাভ করতে চেয়েছিল। সে লক্ষ্যেই সিলেট নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্যে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থীতা সরিয়ে দেওয়ার জন্যও বিএনপিকে নানা ভাবে চাপ দিয়েছে জামাত। সিলেট সিটি নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকায় বিএনপি জামাতের এই ধরনের আবদার আমলে নেয় নি।

নব্বই এর পরবর্তী সময়ে জামাত অন্য দলগুলোর সাথে মিলিত হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করলেও, ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার যুক্ত হয় বিএনপির সাথে। বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতাসীন হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সারা দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতিসহ নানা ধরনের নৈরাজ্য জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামাত জোট সরকার।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরও সেই জোট ভাঙ্গে নি। সে সময় বার বার দেশে হরতাল, অবরোধ অগ্নিকান্ডসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিল জামাত-বিএনপি জোট। ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে জামাত-বিএনপি সহিংস হয়ে ওঠে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা ও দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলে জামাত সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচীতে নামে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামাতকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

বিএনপি-জামাত জোট যতবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, ততবারই দেশে সৃষ্টি হয়েছে ত্রাসের রাজনীতি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি বিএনপি। তবে সহিংসতা থেমে থাকেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিরোধিতা করে সারাদেশে বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসের রাজত্ব আবার শুরু হয়। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতর ঢুকে জামাত-বিএনপি সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, যদিও তাদের এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।


বাংলা ইনসাইডার 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন