নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রীদের জন্য নবনির্মিত ‘৭ মার্চ’ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি এই ভবনের উদ্বোধন করেন। ‘৭ মার্চ’ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে রোকেয়া এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে উপবিষ্ট হন। নিয়মমাফিক প্রধানমন্ত্রীর সামনে দর্শকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে কিছুটা ব্যতিক্রমী ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও দর্শকের সারির মাঝখানে কিছুটা খালি জায়গা রাখা হয়। সেই খালি জায়গাতেই পরবর্তীতে প্রদর্শন করা হয় মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে। ডিসপ্লে পরিবেশনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজন আরও ভালো হতে পারতো বলে মনে করছেন অনেকে। এই প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত ওয়াসার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা যায়। ওই অনুষ্ঠানে অতিথিদের দর্শকসারি থেকে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা রাখা হলে অনুষ্ঠানটি আরও গোছানো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।
ডিসপ্লে প্রদর্শন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন বেগম রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বি.এম লিপি আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম। ছাত্রলীগের দুই তরুণ নেত্রী এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরেন। ছাত্রলীগ নেত্রীদের আস্থা ও ভালোবাসার ‘আপা’কে জড়িয়ে ধরার দৃশ্যে অনুষ্ঠানস্থলে আলাদা আমেজ সৃষ্টি হয়।
এর আগে ‘৭ মার্চ’ ভবন উদ্বোধন করতে সচিবালয়ের রাস্তা হয়ে রোকেয়া হলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যে পথ দিয়ে আসেন সেই পথকে রঙিন করে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের শতাধিক শিক্ষার্থী সংসদ সচিবালয় থেকে রোকেয়া হল পর্যন্ত ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ এবং ৭ ফুট প্রস্থ আলপনা অঙ্কন করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পযর্ন্ত সড়কে আলপনা আঁকার কর্মযজ্ঞে অংশ নেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজনের উদ্দেশ্যে গত ২৯ আগস্ট ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ গঠন করা হয়।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।