নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম – বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত বাঙালির সকল রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের এক অবিসংবাদিত নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সোহরাওয়ার্দী বিশ্বাস করতেন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি এই অবিচল বিশ্বাসের কারণে তিনি গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে জনমনে জায়গা করে নেন। আজ এই গণতন্ত্রের মানসপুত্রের জন্মদিন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দি ও নামকরা উর্দু সাহিত্যিক খুজাস্তা আখতার বানুর কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন সোহরাওয়ার্দী। সফল রাজনীতিবিদ সোহরাওয়ার্দী কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা, সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে। যোগদানের মাধ্যমে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তখন থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে শুরু করেন তিনি। ১৯২৩ এর বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরে যথেষ্ট ভূমিকা ছিল সোহরাওয়ার্দীর। এরপর ১৯২৪ সালে তিনি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান গঠিত হলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে `পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ` প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামসুল হক। কারাবন্দী অবস্থায় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ যার সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একজন বিচক্ষণ ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলীম লীগকে পরাজিত করা যুক্তফ্রন্ট গঠনে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল সোহরাওয়ার্দীর। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। ১৯৫৬ সালে চৌধুরি মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পর তিনি ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব বাংলার উন্নয়ন, সংখ্যা-সাম্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন, উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মতো গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে ভূমিকা রাখেন সোহরাওয়ার্দী।
শারীরিক সমস্যার কারণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালে দেশের বাইরে যান এবং লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ৫৫ বছর পরও তাঁর মৃত্যু অনেকের কাছে রহস্যমণ্ডিত হয়ে আছে। ধারণা করা হয়, পাকিস্তানি সেনা শাসক আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্রে মৃত্যু হয় সোহরাওয়ার্দীর। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু দিবসের অনুষ্ঠানেই বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নামকরণ করে বাংলাদেশ রাখেন। স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৮ বছর আগে মৃত্যু হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাঙালির মননে ও ভালোবাসায়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
নৌ বাহিনী র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন
মন্তব্য করুন
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।