নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে এখনো চারমাস। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজধানী জুড়ে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলি। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও পিছিয়ে নেই পোস্টারিং এর দৌড়ে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আগেভাগেই পোস্টার লাগিয়ে অনেকেই আলোচনায় আসার চেষ্টা করছেন।
পোস্টার দিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মনোযোগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী। এদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় না থাকলেও পোস্টারিং করেই রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন। নগরীর অলিগলি-রাস্তার দুই পাশে নানা রঙের রাজনৈতিক পোস্টার-ব্যানার শোভা পাচ্ছে। আকর্ষণীয় এসব পোস্টার-ফেস্টুনে নিজেদের ছবির পাশাপাশি দলের প্রতিষ্ঠাতা, দলীয় প্রধানসহ পছন্দের নেতাদের ছবি ঠাঁই পেয়েছে। পোস্টার সাঁটানোর এই প্রতিযোগিতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই এগিয়ে। বিরোধীদল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পোস্টার কিছুটা চোখে পড়লেও বিএনপির নেতাকর্মীদের পোস্টার কিংবা ব্যানার একেবারেই চোখে পড়ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর-১০, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, ফার্মগেট এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনের দেয়াল, বিভিন্ন দোকানের শাটার, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছে লাগানো হয়েছে নির্বাচনী পোস্টার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্বাচনী পোস্টার ছিল চোখে পড়ার মতো। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী নিজেদের পরিচয় জানান দিতেই ব্যাপকভাবে পোস্টার-ফেস্টুন লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণা হিসাবে পোস্টার সাঁটানোর ক্ষেত্রে বাদ পড়েনি রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। লোকাল ও সিটিং বাসগুলোর পিছনে লাগানো হয়েছে এসব পোস্টার। তেঁতুলিয়া পরিবহন এবং খাজাবাবা পরিবহনের পিছনে দেখা মেলে এসব নির্বাচনী পোস্টারের।
এমনকি রাজধানীর বাইরের আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যানারের মাধ্যমে প্রচারণা চলছে রাজধানী ঢাকাতে। এমনই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর বিজয় সরণীর মোড়ে। নীলফামারী-৪ আসনের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানারের দেখা মেলে এখানে।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখনো পর্যন্ত তাদের কর্মীদের নিয়ে বাড়ি-বাড়ি যেয়ে প্রচারণা শুরু করেননি, তবুও পোস্টার সাঁটানোর এ প্রতিযোগিতা নির্বাচনের আগাম আবহাওয়ার জানান দিচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।