নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গরা পুলিশ প্রটোকল নিয়ে রাস্তা আটকিয়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাচ্ছেন, ঠিক এমন দৃশ্যতেই অভ্যস্ত আমরা। যদিও বিশ্বের অনেক দেশেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কোন রাজনৈতিক কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই অতি সাধারণের মতো চলাচলের কথা শুনেছি আমরা। এবার এমন ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। কোন প্রকার পুলিশ প্রটোকল ছাড়াই একজন সাধারণ যাত্রীর মতো অফিস শেষ করে লোকাল বাসে চেপে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় থেকে বের হয়ে ৬ নম্বর বাসে করে গুলশানের বাসায় গেছেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন শুধুমাত্র এপিএস এবং পিও।
এ বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম অফিস শেষে বুধবার দুপুরে জিপিও মোড় থেকে ৬ নম্বর বাসে করে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। প্রতিমন্ত্রীর বাসে করে বাসায় ফেরায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ওই বাসে থাকা যাত্রী, চালক ও তার সহকারীরা। সাধারণ যাত্রীরা একজন প্রতিমন্ত্রীকে বাসে দেখে খুবই খুশি হয়েছেন। এমনকি তারা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন।
গণপরিবহনে উঠার ব্যাপারে তারানা হালিম জানান, প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের একটা অভিযোগ থাকে, এমপি-মন্ত্রীরা সড়ক পথের যানজট দেখেন না। তারা আশা করে এমপি-মন্ত্রীরা একবার হলেও তাদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীর মতো গণপরিবহনে চলাচল করবেন। সেখান থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যদিও বাসের কন্ডাক্টর বাসের ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবুও অন্যান্য যাত্রীদের মতোই ১৫ টাকা বাস ভাড়া দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বাস থেকে নেমে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাসের সিটের কাভারগুলো তেল চিটচিটে ছিল। আমি বললাম এগুলো হাতে এবং নখে থাকলে কোনো খাবার খেলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে মানুষ। কাভারগুলো পরিষ্কার বা পরিবর্তন করে দিতে বললাম, তারা বললো পরিষ্কার করবেন।’
এছাড়াও, বাসা থেকে সচিবালয়ে, নিজ কার্যালয় থেকে বাসা, এখন থেকে গণপরিবহন ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে নানা কারণে সমালোচিত হলেও একজন সাধারণদের মতো প্রতিদিন গণপরিবহনে করে অফিসে যাতায়াত তারানা হালিমের এ সিদ্ধান্তে সাদুবাদ জানিয়েছে অনেকেই। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে দিয়েছেন বাহবা।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।