নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের পাঁচ সদস্য। খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ইতিমধ্যেই কারাগার থেকে বের হয়েছেন তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেসক্রিপশন আগামীকাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় ‘বাংলাদেশ জেল’ লেখা একটি মাইক্রোবাসে করে কারাগারের মূল ফটক পেরিয়ে যান চিকিৎসকরা। মেডিকেল বোর্ডের পাঁচ সদস্যই খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুব নিবিড়ভাবে যত্ন নিয়েই করেন। সেখানে ২০ মিনিট অবস্থান করে বের হয়ে আসেন তাঁরা।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিনের অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী, কার্ডিওলজির অধ্যাপক হারিসুল হক, অর্থোপেডিক সার্জারির অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী, চক্ষুর সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ।
কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি মেডিকেল বোর্ডের পাঁচ সদস্য। এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের দেওয়া প্রতিবেদন আগামীকাল রোববার দেওয়া হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়ে পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া। বন্দী থাকা অবস্থায় একবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড বলেছিল, খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর নয়। এরপর গত ৭ এপ্রিল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা করতে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। নতুন করে বিএনপির দাবি পূরণে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে আবারও মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।