নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা যা দরকার তার সবই সরকার করেছে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে কারো মুখ চেপে ধরিনি, কারো কথা বলায় অধিকার কেড়ে নেই নি, বাধা দেইনি।
আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক ও নিহত ১১৩ জন সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৮৫ লাখ টাকা অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।এ সময় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও এ কল্যাণ ট্রাস্টে মিডিয়া মালিকদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশে শুধু সরকারি একটি টিভি চ্যানেল ও একটি রেডিও ছিল। আমরা টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র ও রেডিও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিই। তখন উদ্দেশ্য ছিল একটাই, সেটি হলো অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা সাংবাদিকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আমরাও সেটি বজায় রেখেছি। তাঁর মতে, স্বাধীনতা ভালো, তবে বালকের হাতে স্বাধীনতা মানায় না।
সাংবাদিকদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বেকার সাংবাদিকদের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। অথচ তারাই পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর সমালোচক হয়ে উঠেছিল। তাঁরা বলা শুরু করেছিলো যে জাতির পিতা গণমাধ্যম রাষ্ট্রীয়করণ করে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। অথচ তাঁদের গণমাধ্যম পরিচালনার মতো অবস্থা কিন্তু তখন ছিল না।
দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ও গঠনমূলকভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান প্রাধানমন্ত্রী। সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাবার কথা উল্লেখ করে আক্ষেপও করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে কোনো ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের তোয়াক্কা না করে সুষ্ঠুভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি; এমনটিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী এমপি প্রমুখ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।