ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল আইন পাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গণমাধ্যম দমনে বা নিয়ন্ত্রণে নয়, ডিজিটাল অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল আইন পাস করা হয়েছে। মতামত প্রকাশের জন্য যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য তথ্য অধিকার আইনও এখানে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

গতকাল বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল ২০১৮ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী এই কথা বলেন।

মন্ত্রী সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন,  ‘নাসিরনগর, রামু, বগুড়ায় কী ঘটনা ঘটেছে? সাম্প্রতিককালে ছাত্র আন্দোলনের নামে কী ঘটনা ঘটেছে, সেটা যদি বিবেচনায় আনা হয়, তাহলে এই বিলটির যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়।’

আইন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং সরকার  তাদের মতামতগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যেসব সংশোধনী করা দরকার বলে তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তার সবই এখানে আনা হয়েছে। সাংবাদিক নেতারা আমাদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে, সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনায় যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন, সম্ভবত সেসব কথা ভুলে গেছেন। নইলে এখন এই বিলের সমালোচনা করতেন না তারা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এখানে ৫৭ ধারা বাতিল হয়েছে। সাংবাদিকরা আপত্তি করেছেন ৩২ ধারা নিয়ে। তারা গুপ্তচরবৃত্তির কথা বলেছিলেন, সংসদীয় কমিটি সেটা বাদ দিয়ে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট সংযোজন করা হয়েছে। আর অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টের কোনো অপব্যবহারের নজির নেই। কোনো মামলাও হয়নি।’

গতকাল বুধবার বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংসদে পাস হয়। জাতীয় সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করার পর বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

নতুন এই আইনের ৩২ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট প্রয়োগ করে সরকারি কোন কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে সংগ্রহীত তথ্যকে (‘তথ্য পাচারের’) অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অপরাধ সংঘটন ও সংঘটনে সহায়তা দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনে পুলিশকে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি ও গ্রেফতারের পাশাপাশি ক্ষতিকর তথ্য-উপাত্ত ব্লক বা অপসারণের বিধানও রাখা হয়েছে।

এছাড়া এই আইনের অধীনে সব কাজকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকি জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাপরিচালককে প্রয়োজনবোধে নিজ ক্ষমতা এজেন্সির কোন কর্মচারী এবং অন্যকোন ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারকে অর্পণ করারও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি চিহ্নিত করে প্রস্তাবিত এই আইনটিকে পাস না করতে কয়েকদিন আগেও আহ্বান জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে অধ্যক্ষ মামুন


Thumbnail

বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। 

গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা। 

উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাঁকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দূরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়। 

বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। 

সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরও জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

লক্ষীপুর   রায়পুর উপজেলা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব'

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়, অনুমতি মিললে ঈদুল আজহার আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিলের জীবন্ত গরু ও মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে।

পাওলো ফার্নান্দো আরো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।


ব্রাজিল   রাষ্ট্রদূত   ডিক্যাব   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন