নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ভোটের অধিকার আদায়ে দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টির অঙ্গীকার করেছেন বিএনপি, ঐক্যপ্রক্রিয়া এবং যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। একমঞ্চ থেকে তারা দুর্নীতিমুক্ত আগামী দিনের বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ নেন। একই সঙ্গে তারা খুন-গুম চিরতরে বন্ধ করে আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের জন্য সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়। নেতারা এ সময় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ‘বৃহত্তর ঐক্যের’ ব্যানারে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা দেন। (যুগান্তর)
অন্যান্য সংবাদ
বালুখেকোরা খুবলে খাচ্ছে সুরমা
সিলেটের প্রাণ সুরমা নদীকে খুবলে খাচ্ছে বালুখেকোরা। অথচ এই নদী সিলেট শহরকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করায় এটি কেবল পরিবেশ ও যোগাযোগবান্ধব নয়, সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে উঠেছে। যদিও এই দিকগুলোর সুব্যবহার না করে দখল-দূষণের পাশাপাশি অবৈধভাবে যথেচ্ছ বালু উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এ নদীকে নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। সিলেট শহর ও সংলগ্ন এলাকাকে সংযুক্ত করতে সুরমা নদীতে পাঁচটি সেতু রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ সেতুগুলোর আশপাশ থেকেই অবাধে বালু তোলা হচ্ছে। (সমকাল)
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর চায় না ক্ষমতাসীনরা
বিএনপিকে ছাড়াই আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। সেই সঙ্গে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার তৎপরতা। তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলে তা মোকাবেলার প্রস্তুতি চলছে ক্ষমতাসীন মহলে। বিএনপি ও তার মিত্ররা দাবি আদায়ের নামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না এলে গতবারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে পড়তে চায় না ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে না এলেও ৩০০ আসনেই যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকে—এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তারা ১৪ দলের শরিক দলগুলো, জাতীয় পার্টি এবং আরো কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক জোট যেন নির্বাচনে অংশ নেয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। (কালের কণ্ঠ)
প্রধানমন্ত্রী লন্ডন পৌঁছেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফরে নিউইয়র্কের পথে শুক্রবার লন্ডন পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। ব্রিটিশ রাজধানীতে দুইদিনের যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী আজ রবিবার সকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ১টা ৪০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।