ইনসাইড বাংলাদেশ

‘নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব গড়ে তুলতে জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বিশ্বকে অধিকতর নিরাপদ করে তুলতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া তথ্য নিরাপত্তা বিধানে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রয়োজনীয়তাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ-তে জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিএ) আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আইসিটি অপব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আইসিটির অপব্যবহার আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাইবার জগতের কোনো ভৌত সীমানা নেই। রাষ্ট্রসমূহের আইটি-কে নিরাপদ করার সামর্থ্য নেহায়েত অপ্রতুল। আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে দুর্বল সংযোগ অন্যান্যের জন্য ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাইবার নিরাপত্তা সকলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্ক রয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু দেশ আইসিটি-কে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিষয়ে কাজ করছে। সন্ত্রাসী ও সহিংস উগ্রবাদীরা এটিকে তাদের বিষাক্ত বক্তব্য প্রচারে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, ‘আইসিটি খাতে আমাদের কষ্টার্জিত সাফল্যকে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন। কেননা, সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো নিয়মিতভাবে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা অপরাধমূলক সাইবার কর্মকান্ডের উৎস শনাক্ত করতে পারার প্রযুক্তি ও তথ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবেশাধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সত্যিকার উৎস শনাক্তকরণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকার ওপরও নিজ বিবৃতিতে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বলেন, এ পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তায় ব্যবহৃত কৌশলসমূহকে আরো অংশগ্রহণমূলক করে গড়ে তোলা দরকার।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের উদ্বেগ প্রকাশের সুযোগ দেয়া উচিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব তার নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচিতে এর স্বীকৃতি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতিকর সাইবার কর্মকান্ড রোধ ও মোকাবেলায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনাক্রমণাত্মক উপায় ব্যবহারকে উৎসাহিত করা উচিত। সাইবার বিশ্বে অধিকার ও স্বাধীনতার প্রশ্নটি যথাযথভাবে মোকাবেলা করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাইবার বিশ্বে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বশীল আচরণের নীতিমালা ও মূলনীতির নিঃশর্ত সমর্থন পাওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘সাইবার বিশ্বে জাতিসংঘ সনদের মূল নীতিসমূহ এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করা উচিত। রাষ্ট্রসমূহকে অবশ্যই কোন ধরনের ক্ষতিকর সাইবার কর্মকান্ড পরিচালনা বা সমর্থন না করতে তাদের অঙ্গীকারের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রসমূহের তাদের ভূখন্ডকে অন্য রাষ্ট্রসমূহের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহৃত হওয়াও প্রতিরোধ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এসব প্রতিশ্রুতি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং অন্যরাও তা করবে বলে আমরা আশা করি।’

সাইবার নিরাপত্তার সামর্থ্য বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া এবং উন্নয়ন সহযোগীদের এটিকে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বিবেচনা নেওয়ার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি সাইবার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম রয়েছে যেটি অপরাপর রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে থাকে এবং প্রশিক্ষণের জন্য একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা অপর বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আশা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা উপস্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের তৃতীয় মেয়াদের শেষ দিকে এসে আমি জাতিসংঘ এবং অন্য সকল স্থানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্কৃতি প্রসারে বাংলাদেশের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘের একটি উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন তার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও সুলভ সাইবার বিশ্ব গঠনের জোরালো রাজনৈতিক সংকল্প ব্যক্ত করা উচিত।’

গতকালের অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিৎসু, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান, এস্তোনিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পল টিসালু এবং জাপানের সাইবার পলিসি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওতাকাও বক্তব্য রাখেন।

আইসিটি ফর পিস-এর সিনিয়র এডভাইজর এনিকেন টিকের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, ইউএনওআইসিটি’র গ্লোবাল সার্ভিস ডিভিশনের ডিরেক্টর সালেম আভান এবং মাইক্রোসফটের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড পলিসি বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এঞ্জেলা ম্যাককেইও বক্তৃতা করেন।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি

সোর্সঃ বাসস



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল! 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা যুক্তরাষ্ট্রকে শুনিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যিনি তার কিছু দিন আগেও অমুক বিএনপি নেতাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনছিলেন বা তমুক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়ে হাজির হচ্ছিলেন– তাকে আর ভোটের সময় দেখাই গেল না! কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন!’  

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না অংশ নেয়, তা হলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায় যে, দল জানে তারা ভোটে হারবে, তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র) কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।’

অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক, সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকায় সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘মডারেট’ (মধ্যপন্থি) ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, জামায়াতের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। বিনা সিক্রি মনে করেন, এই ‘ভুল ধারণা’র ভিত্তিতেই জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আমেরিকার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে আসছে।

এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল, তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এ কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে।

এদিনের আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসুয়া বসুরায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ওআরএফ দিল্লির সিনিয়র ফেলো তথা স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন।

পিটার হাস   নির্বাচন   মার্কিন রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন