ইনসাইড বাংলাদেশ

ছোবল হানছে আ. লীগে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে বোরকা পরিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত দুজন হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদার (৫৩) ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য শেখ শুকুর আলী (৪৫)। দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল শেখ (২৫)। তাঁকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

আহত বাবুল শেখ ও নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, দৈবজ্ঞহাটি ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ফকির ও তাঁর লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন।

এই অন্তর্দ্বন্দ্বের পেছনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহীদুল বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি দলটিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য মোজাম্মেলের কাছের লোক হয়ে ওঠেন। এই ইউপি চেয়ারম্যানের আওয়ামী লীগে কোনো পদ নেই। অথচ পরপর দুবার তিনি নৌকার মনোনয়নে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে গত বছর পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত’ ছবি ছাপানোর অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদউল্লাহ সাজু। মানহানির এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে থানা হাজতেও থাকতে হয়েছে তারিক সালমানকে। দেশজুড়ে তোলপাড় তোলা এ ঘটনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানেও পৌঁছে যায়। এক পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন বাদী ওবায়েদউল্লাহ সাজু। তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এক সময় বিএনপির রাজনীতি করতেন অ্যাডভোকেট সাজু। ভোলা জেলা বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাজাহানের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ফকির ও  ওবায়েদউল্লাহ সাজুই নয়। অতীতে বিএনপি করেছেন কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে পরিচয় বদলে ফেলে আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন এমন অনেকেই আমাদের চারপাশে আছেন। এই অনুপ্রবেশকারীরাই বর্তমানে সাধারণ জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং দলের মধ্যে অন্তর্কোন্দল সৃষ্টি করতে তৎপর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতরা আবার তৎপর হয়ে উঠেছে। এতদিন আওয়ামী লীগের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এবার সেই আওয়ামী লীগেই আঘাত হানছে তারা।  অনুপ্রবেশকারীদের কারণে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এখন খুনোখুনিতে পরিণত হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিতে পারলে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের উদ্বেগ

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

সারা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা  উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

 বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

এতে বলা হয়, "অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।'

শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।

 


তাপপ্রবাহ   উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি   শিশুরা   ইউনিসেফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথা সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের তফসিল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে এবং ভোট ৫ জুন। এই ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


ডিসি   এসপি   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মিয়ানমারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারে চলমান আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ২৫ এপ্রিল ও প্রয়োজনে ২৬ এপ্রিল সম্পন্ন হবে। কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন বাংলাদেশে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিকট প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত নাগরিকগণের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম অতিদ্রুত শেষ করা হয়। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেন।

কক্সবাজার সদরের  স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান।

মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজযোগে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বুধবার বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আসা বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হবে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


মিয়ানমার   বিজিপি   সদস্য   হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিখোঁজ কেএনএফ প্রধানের স্ত্রী লালসমকিম

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিকাণ্ডের পর নতুন করে আলোচনার খাতা খোলেন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বম। নিরুদ্দেশ তিনি। ভারতের মিজোরাম, নাকি ইউরোপের কোনো দেশে রয়েছেন তিনি তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এবার নাথানের স্ত্রী লালসমকিম বমেরও মিলছে না খোঁজ।

লালসমকিম সরকারি হাসপাতালের সেবিকা (নার্স) হওয়ায় তার নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। গেল ৮ এপ্রিল রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছিল।

তবে বদলির ১৪ দিন পার হলেও হদিস নেই নাথানের স্ত্রীর। গতকাল পর্যন্ত লালমনিরহাটেও যোগ দেননি তিনি। রুমায় তার বাড়িতে নেই লালসমকিম।

স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাটে বদলির আদেশের পর থেকেই লাপাত্তা লালসমকিম। রুমা সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাসাতেও থাকছেন না তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি আত্মগোপনে গেছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, লালসমকিমকে না পেয়ে তার তাৎক্ষণিক বদলির অনুলিপি বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সাধারণত এ ধরনের আদেশের পর জিনিসপত্র গুছিয়ে নতুন বদলির জায়গায় যোগ দিতে ছয় দিন সময় পান। যেদিন লালসমকিমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, সেদিন থেকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর থাকার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। 


লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রমজান আলী বলেন, নাথানের স্ত্রীর বদলির তথ্য আমরা জেনেছি। তবে তিনি এখনও যোগ দেননি। কেন এত দিনেও নতুন কর্মস্থলে আসছেন না, সেটিও মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাননি।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নাথান বমের স্ত্রী ও আরেক নার্স দীপালি বাড়ৈর সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগ আছে কি না এমন সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে কেউ কেউ শঙ্কা করছেন, কেএনএফের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের তথ্য পাচার হওয়া নিয়ে। এর আগেও লালসমকিম বমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তিনি তখন দাবি করেছিলেন, কয়েক বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। 

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। তবে নাথান বমের স্ত্রী কোথায় আছেন, সেটি জানা নেই। 

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, নাথানের স্ত্রীর হদিস পাচ্ছি না। তিনি বাড়িতে নেই, এটা জেনেছি। নাথানের অবস্থান নিয়েও স্পষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।

রুমা সদর ইউনিয়নের ইডেনপাড়ার বাসিন্দা মৃত জাওতন লনচেওর ছেলে নাথান বম। তার বাবা ছিলেন জুমচাষি। মা মৃত রৌকিল বম। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাথান ছোট। অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হয়েছেন নাথান। তার দুই ভাই জুম চাষ করেন। নাথানের এক ভাই রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আরেক ভাই অর্থ পাচারের মামলায় রাঙামাটি কারাগারে।

১৯৯৬ সালে নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। ওই বছরই ঢাবির প্রাক্তন উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বান্দরবান সফরে গিয়ে খিয়াং, লুসাই, ম্রো, বম জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দেন। তাই পরীক্ষায় পাস না করলেও নাথান চারুকলা অনুষদে ভর্তির সুযোগ পান। 

বান্দরবানে ডাকাতির পর সরকারের উচ্চ পর্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নাথানকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হবে। এ ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত নোটিশ পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদরদপ্তরের ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, নাথান বমের ব্যাপারে যে সংস্থা তদন্ত করছে, তাদের কাছ থেকে আবেদন এলেই সেটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলে পাঠানো হবে। আমরা এখনও সে ধরনের চিঠি পাইনি।

এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘রাষ্ট্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী লালসমকিম বমকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল। যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর নাথানের স্ত্রী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পাড়াবাসী তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। লালসমকিম কোথায় আছেন, সে ব্যাপারে কেএনএফের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি।’

কেএনএফ ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে। পরের দিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে তারা। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা সমন্বিত অভিযান চালান। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের কথা চাউর হয় ২০২২ সালের শুরুর দিকে। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক লোক রয়েছে। এ কারণে সংগঠনটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।

কেএনএফের ফেসবুক পেজে তারা জানায়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদমসহ ৯ উপজেলা নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ হিসেবে গঠন করা হবে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কে সে সময় ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক বম নারী-পুরুষ।

সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় বলে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‍্যাব। 


নিখোঁজ   কেএনএফ   ব্যাংক ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানীতে 'হিটস্ট্রোকে' যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ডেমরার আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে চিকিৎসকের ধারণা, মেহেদী হাসান হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

নিহত মেহেদী হাসান ডেমরার ইষ্টার্ন হাউজিং বাঁশের পোল আমিন বাগের জুয়ের মণ্ডলের একমাত্র ছেলে।

নিহতের খালা ইসরাত জাহান জানান, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মেহেদী। মা বাবার ইচ্ছায় মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করে সে। আগামী শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এরই মধ্যে আজ দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ সে গরমে অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার বমি করে। পরে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আজ রাতের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান মেহেদী আর বেঁচে নেই। 

তিনি আরও জানান, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে জ্যামে পড়ে আমার কোলেই গরমে অচেতন হয়ে পড়ে আমার বোনের ছেলে মেহেদী। আমি সবই চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


হিটস্ট্রোক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন